সিংগাইরে হাতনি চকের খালের উপর কালভার্ট না থাকায় হাজারো মানুষের ভোগান্তি

সাইফুল ইসলাম রাব্বিঃ
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের হাতনি হুটের চকের মাঝ খান দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের উপরে একটি কালভার্টের অভাবে কৃষকসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। বিশেষ করে উৎপাদিত ফসল,গরু, ছাগল, ভেড়া নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন কৃষকরা ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের বাহদিপাড়া,হাতনি ও চাপরাইল ৪ কিলোমিটার ৩০০মিটার খালটি হাতনি হুটের চকের উপর দিয়ে বয়ে গেছে।এ খালটি সম্প্রতি বিএডিএসি কর্তৃক খনন করা হয়। এতে খালটি আরও গভীর হওয়ায়, পানি প্রবাহমান আরও বেড়ে যায়। ফলে খালের দু’তীরের কৃষিজীবি মানুষের পারাপারের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। উভয় পারের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল ধান, সরিষা, ভুট্টা , ঘাস, নিয়ে এক কিলোমিটার ঘুরে তাদের বাড়িতে আনতে হয়।এছড়া গরু ছাগল পালনকারীরাও পড়েন বেকায়দা । শুষ্ক মৌসুমে কোন রকম হাটু-জল মারিয়ে পার হতে পারলেও বর্ষাতে দুর্ভোগ আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায়। জামির্ত্তা পাকা রাস্তা হতে পূর্ব দিকে যে চওড়া রাস্তা সরাসরি মধ্য চকের খালের সাথে সংযোগ হয়েছে ঐ স্থানে খালের উপর কালভার্ট নির্মাণ হলে উপকৃত হবে জামির্ত্তা, হাতনি,ডিগ্রিরচর,বাউদি পাড়ার হাজার হাজার কৃষক।তাদের উৎপাদিত ফসল গবাদিপশু নিয়ে সহজেই চলাচল করতে পারবেন। কালভার্ট না থাকায় বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে কৃষকদের দুই তিন কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। ফলে উৎপাদিত ফসল সঠিক সময়ে বাজার জাত করতে না পারায় কৃষকরা ন্যায্য মূল্য হতে বঞ্চিত হচ্ছে। ছাগল পালনকারী মাজেদা বলেন,অনেক কষ্ট করে খাল পার হয় ছাগলকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য। এখানে একটা কালভার্ট হলে ভালই হতো ও কষ্ট দূর হতো। ডিগ্রীর চরের ছত্তার বলেন, আমাদের খালের ওপার চাষবাস করতে হয়। এখানে কালভার্ট হলে কৃষকরা উপকৃত হইতাম।

জামির্ত্তা ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা বলেন, হাতনি-হুটের চক তিন ফসলি জমি। এখানে ধান ও সরিষার বাম্পার ফলনও হয়। কিন্ত চকের মাঝখানে খালের উপর একটি কালভার্ট না থাকায় কৃষকরা চরম ভোগান্তির শিকার।কৃষকদের বিষয়টি চিন্তা করে এখানে একটি কালভার্ট তাড়াতাড়ি করার প্রস্তাব দেওয়া হবে। ইনশাআল্লাহ হয়ে যাবে ।

শিরোনাম