সংবাদ জমিন,অনলাইন ডেস্কঃ
গত ১৬ মে দুপুর অনুমানিক ১৩:৩০ ঘটিকার সময় সাটুরিয়া থানাধীন গর্জনা (বেলতলী) সাকিনস্থ বেলতলী মৌজার চকে জনৈক শামসুর রহমান ওরফে লোটন এর সেচ মেশিন ঘরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে দৌলতপুর থানাধীন ব্রাম্মন্দী গ্রামের মেহের আলী শেখ এর সন্তান হৃদয় ওরফে মানিক(২৫) দৌলতপুর থানার আরিফ শিকদার (২৩) কে ধান কাটার ধারালো কাচি দিয়ে গলায় পোচ মেরে শ্বাসনালীসহ গলার সামনের অংশে হাড় পর্যন্ত কেটে হত্যা করে।
ঐ সময় ঘটনাস্থলের আশেপাশে চকে কৃষিকার্যে ব্যস্ত থাকা স্থানীয় লোকজন হত্যাকারীকে ধারালো কাচিসহ হাতেনাতে আটক করে থানায় সংবাদ দিলে সাটুরিয়া থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আসামীকে হেফাজতে নেয়।এরপর মৃত দেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লাশের ময়না তদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। নৃশংস এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে সাটুরিয়া থানার মামলা নং-০৭, তারিখ-১৬/০৫/২০২২ খ্রিঃ,ধারা-৩০২ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
মামলা রুজুর পর আসামী হৃদয় ওরফে মানিক(২৫) কে অত্র মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় যে,প্রায় দুই থেকে আড়াই বছর আগে তার বউকে আরিফ ভাগিয়ে দিয়েছিলো।এ নিয়ে আরিফের প্রতি আসামীর ক্ষোভ ছিল।এছাড়া আরিফ কবিরাজী করতো।আসামীর বউ চলে যাওয়ার পর আসামী কক্সবাজার ব্যবসা করতে গিয়ে সমুদ্রের পাড়ে ৫/৬টি পাথর কুড়িয়ে পায়। পরে পাথরগুলি আসামীর নিজের মানিব্যাগে রেখে দেয়। পরের দিন আসামী ফজরের নামাজ পড়ে ঐ পাথর গুলোকে চুমো দিয়ে দেখে আসামীর ক্ষুধা লাগে না। আরিফ আসামীর এই পাথরের কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতো। আরিফ এই পাথরগুলো আসামীর কাছ থেকে নিয়ে যেতে পারে বলে ধারনার বশঃবর্তী হয়ে এবং পূ্র্ববিরোধের জেরে ধান কাটার ধারালো কাচি দিয়ে গলায় পোচ মেরে আরিফ শিকদার (২৩) কে নৃশংসভাবে হত্যা করে মর্মে বিস্তারিত তদন্তে প্রকাশ পায়।
মানিকগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয় এবং সদর সার্কেল অফিসার,মানিকগঞ্জ মহোদয়ের নির্দেশনায় সাটুরিয়া থানা পুলিশ আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করিলে আসামী ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। এছাড়া দ্রুততম সময়ে মৃতের ময়না তদন্ত রিপোর্ট সংগ্রহ করে মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনসহ মামলাটির যথাযথ ও সুষ্ঠু তদন্ত শেষে ন্যায়বিচারের স্বার্থে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘটনায় জড়িত আসামীর বিরুদ্ধে সাটুরিয়া থানার অভিযোগপত্র নং-৭০, তারিখ-১৭/০৫/২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩০২ পেনাল কোড বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করা হয়েছে।