মানিকগঞ্জের সিংগাইরে জায়গীর বাজারে ইউএনও রুনা লায়লা অভিযান চালিয়ে জয়মন্টপ এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে জরিমানা ও তার নির্দেশে তপন দাসকে মারধরের ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভিকটিম ঘটনার পরই সংবাদ কর্মীদের কাছে ইউএনও কে আপা বলে সম্বোধন করায় তাকে যে লাঠিপেটা করা হয়েছিল, তা এখন অস্বীকার করছে। কেন অস্বীকার করছে, তা নিয়ে জনমনে দারুণ কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেলে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের জায়গীর বাজারে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় জয়মন্টপ এলাকার গৌরচন্দ্র দাসের পুত্র ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী তপন দাসের ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও রুনা লায়লা। এ সময় তপন দাস ইউএনও মহোদয়কে স্যার না বলে আপা বলায় তাকে ইউএনওর নির্দেশে থানার এক কনস্টেবল লাঠিপেটা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ঘটনা সত্য। ঘটনার পর তপন সাংবাদিকদের নিকট স্বীকার করেছেন ইউএনও মহোদয়কে আপা বলায় আমি লাঠিপেটার স্বীকার হয়েছি। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মানিকগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম ঐ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে নেন। ইউএনও মহোদয় সাংবাদিকদের নিকট ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, আপা বলার জন্য নয়, লকডাউনের মধ্যে দোকান খোলা রাখার জন্য তাকে মারপিট করা হয়েছে।
ঘটনার ১দিন পার হতে না হতেই ঐ স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বক্তব্য উল্টে গেল? মূল কাহিনী কি হয়েছে যে, বক্তব্য উল্টে গেল? বক্তব্য উল্টে যাবার পর কোন কোন সংবাদ মাধ্যমে আবার ইউএনওর পক্ষে সাফাই গেয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হলো। অপরদিকে বাংলাদেশ এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস মানিকগঞ্জ জেলা শাখা ইউএনও রুনা লায়লার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। যদি তাই হয়, তাহলে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কে পেটালো, কাকে প্রত্যাহার করা হলো? কেন প্রত্যাহার করা হলো?