বাংলাদেশের ইতিহাসে আলো ছড়ানো ফুটবল তারকার নাম টুটুল

 

সংবাদ জমিন, অনলাইন ডেস্ক ঃঃ
বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা রাইটব্যাক কে ? সামশুল আলম মঞ্জুকে এগিয়ে রাখেন অনেকে। তার শুটিং ছিলো দেখার মতো,দুর্দান্ত খেলোয়াড়। তবে কে সেরা সেই বিতর্কে না ঢুকে বলা যাক,একটা সময় ‘ইনসাইডে ‘চলে এলেও দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল দারুনভাবে নজর কেড়েছিলেন রাইটব্যাকে। ১৯৭৬ সালে ঢাকায় আগা খাঁন গোল্ডকাপে ফুটবল টুর্নামেন্টে টুটুল ফুটবল ক্যারিয়ারে হলো সফল টেক-অফ।

থাইল্যান্ডের রাজবীথি দলের সামনে প্রথমর্ধে আবাহনী রীতিমতো বিধ্বংসী মেজাজে। এ অর্ধেই স্কোরলাইন তুলে ধরছে আগুন ঝরানো এক আবাহনী। আবাহনী ৩ – রাজবীথি -০ তিনটি গোলেরই উৎস নবীন রাইটব্যাক টুটুল। সে ম্যাচে বিদ্যুৎ ঝলকানির মতো তার পায়ের ঝলক মোহিত করেছিলো ঢাকা স্টেডিয়ামের গ্যালারীতে বসা হাজার হাজার দর্শকে। টুটুল হয়ে গেলেন এ দেশের ফুটবলে আলো ছড়ানো এক নাম। টুটুল সম্পর্কে বলতে গিয়ে আশরাফউদ্দিন চুন্নু একচোট নিলেন, বলেন টুটুলের একটা অভ্যাস ছিলো সবকিছুতেই দেরি , অনুশীলনে নামতে দেরি, মাঠে দল নামছে সবার পরে টুটুল।

মজার ব্যাপার সে সময় খেপ খেলতে ফুটবলারদের অনেক চাহিদা ছিলো,অথচ টুটুলকে কেউ নিতেই সাহস পেত না! যদি তিনি দেরি করেন। ১৯৭৫ -৭৬:সালে আবাহনীতে যে ব্যাচটা ছিলো, সেটি একটানা আট-দশ বছর খেলেছে। বর্তমান সময়ে খেলোয়ারা কোথাও তারা থিকু হন না। টাকা বেশী পেলেই দল পাল্টান। অথচ তখনকার খেলোয়াড়দের পোশাক পাল্টানোর মতো মন মানসিকতা ছিলো না।

চুন্নু,অমলেশ,সালাউদ্দিন,বাবুল,টুটুল হেলাল সহ ১০-১২ জন টানা ১০-১২ বছর খেলা মানে আবাহনী দলটা শক্ত ভিত্তির উপর দাড়িয়েছিলো।
আবাহনীতে দাপিয়ে ফুটবল খেলেছেন, জাতীয় দলের জার্সিতে ছিলেন উজ্জ্বল।

এশীয় যুব ফুটবলের তিনটি ম্যাচই তার কাছে হয়ে আছে আলাদা, বাংলাদেশের ফুটবলের ওই টুর্নামেন্ট টি টার্নিং পয়েন্ট। কোচ বেকেলহফের কারনেই টুটুল রিবারোতে চলে আসেন। এমনিতে রাইটব্যাক। কোচ বেকেলহফকে ভুতে পারেন না টুটুল, তার দেখা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা কোচ বেকেলহফ । বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা রাইটব্যাক অথচ তাকে সবাই চেনেন একজন ক্রীকেট সংগঠক হিসেবে।একসময়ে পাইওনিয়ার ফুটবলের দল কলাবাগান কিন্তু সেটি ক্রীকেট ভিক্তি ক্লাব।

সেই ক্লাবের দ্বিতীয় বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগে, প্রথম বিভাগ থেকে প্রিমিয়ার ডিভিশনে মাঠে নেমেছেন টুটুল। কলাবাগান ক্লাবের সদস্য,যুগ্ম-সম্পাদক, সহ-সভাপতি, সভাপতি পর্যন্ত হয়েছেন।

১৯৯৪-৯৭ সালে আবাহনীর ফুটবের দলের ম্যানেজার ছিলেন, বাংলাদেশ ক্রীকেট বোর্ডে ডাইরেক্টর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। খেলোয়াড়ি জীবনে ১৯৭৪ সালে দ্বিতীয় বিভাগে ধানমন্ডি ক্লাবে,১৯৭৫-৮০, ৮৩-৮৬,৮৮-৯১ আবাহনীতে, ১৯৮১-৮২ ব্রাদার্সে, ১৯৮৭ রহমতগঞ্জ। ১৯৮০ সালে আবাহনীর অধিনায়ক। জাতীয় দলে ১৯৭৬-৮৫ সাল পর্যন্ত। মাসুদ আলম ভাইয়ের ফুটবলের গল্প অংশ বিশেষ কার্টিজ। জাতীয় পুরস্কার ২০০৯ সালে। তথ্য সূত্র-ফেসবুক

শিরোনাম