নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
অন্ধকার ঘরে বিছানায় পড়েছিল রক্তাক্ত নাজমা খাতুনের নিথর দেহ। মাকে ডেকে সাড়া না পেয়ে ভয়ে দরজার পাশে দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদছিল তাঁর ৭ বছরের শিশু সন্তান। স্বজনসহ প্রতিবেশীরা এসে মরদেহ উদ্ধার করে। স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী রইচ মন্ডল এর বিরুদ্ধে। নির্মম এ ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপার ১নং ত্রিবেনী ইউনিয়নের পাদমদী গ্রামে। নাজমা খাতুন পদমদী গ্রামের মৃত ইজাহার শেখের মেয়ে। তাঁর স্বামী রইচ মন্ডল চর ত্রিবেনী গ্রামের আজিজ মন্ডলের ছেলে। এ দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।
জানা গেছে, ২৮ বছর আগে নাজমার সঙ্গে রইচের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নাজমা বাবার বাড়িতে থাকতেন। রইচ ঢাকায় তারেক নাম ধারণ করে একটি পোশাক কারখানায় (মন্ডল গ্রুপ) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। সেখানে একটি মেয়েকে ২য় বিয়ে করা নিয়ে ১ম স্ত্রীর সাথে তার বনিবনা হচ্ছিল না। আর এরই জের ধরে ঐ গৃহবধূ হত্যার শিকার হয়। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। পুলিশ জানায়,স্বামী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জোর চষ্টো চলছে।