স্টাফ রিপোর্টার ঃঃ
জয়পুরহাটের কালাইয়ে হাঁটতে যাওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে বাড়ির বাইরে একটি পুকুরের পানিতে চুবিয়ে স্ত্রী বিলকিছ বানুকে (৫০) হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের ধুনট গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্বামী ছাদেক আলীকে (৬১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছাদেক আলী তার স্ত্রীকে পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে।
এ ঘটনায় গতকাল নিহতের বড় ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম বাদী হয়ে বিলকিছ বানুর স্বামীকে আসামি করে কালাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সাংসারিক কলহ লেগেই ছিল স্বামী-স্ত্রীর মাঝে। মারপিটের মতো ঘটনা অনেকবারই ঘটেছে। এরই জেরে সোমবার রাতে স্বামী ছাদেক আলী তার স্ত্রীকে হাঁটার কথা বলে দু’জন মিলে একসঙ্গে বাড়ির বাইরে আসেন।
বাড়ির পাশে একটি পুকুরের পাড় হয়ে তারা হাঁটাহাঁটি করছিলেন। হাঁটাহাঁটির এক পর্যায়ে ছাদেক আলী তার স্ত্রী বিলকিছ বানুকে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং ওই স্থান থেকে পালিয়ে যায়। বাড়িতে ফিরে না আসায় স্বজন ও প্রতিবেশীরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বিলকিছ বেগমের মরদেহ বাড়ির পার্শ্বে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে স্বামী সাদেক আলী বাবুর খোঁজ না পেলেও পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে তাকে আটক করে। নিহতের ভাই মঞ্জুরুল আলম বলেন, আমি ছাদেককে আসামি করে মামলা করেছি। বোন হত্যার বিচার চাই।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক বলেন, হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছে। আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ছাদেক আলী তার স্ত্রীকে পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা ঘটনা স্বীকার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ছবি-সংগৃহীত