মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) থেকে ঃঃ
মানিকগঞ্জের সিংগাইর-সাহরাইল টু মানিকনগর জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পাকা করণেরর লক্ষ্যে খোঁড়াখুড়ির দেড় বছর অতিবাহিত হলেও রাস্তাটি সংস্কার কিংবা মেরামত না করায় দক্ষিণ অঞ্চলের ২০ হাজার লোকের যাতায়াতের রাস্তাটি এখন ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিংগাইর-সাহরাইল-মানিকনগর টু সিরাজপুর হাট রাস্তাটির মানকিনগর পর্যন্ত ইতিপূর্বে নিম্ন মানের উপাদান সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় দফায় দফায় পুনঃ মেরামতের কাজ করলেও স্বল্প সময়ে খানাখন্দে পরিণত হয়। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে হাঁটু পানি পর্যন্ত হয়ে যায়। জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি দিয়ে প্রতি দিন দক্ষিণ অঞ্চলের ১০/১২ গ্রামের ২০ হাজার লোকের যাতায়াত ।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, সিংগাইর-সাহরাইল-মানিকনগর ৯ কিলোমিটারের রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় জনগণের দুর্ভোগ লাগবে সরকার এলজিইডি অফিসের মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করেন। যার প্রাক্কালীন ব্যয় ধরা হয় ১২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। সে মোতাবেক টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ পান ডলি গ্রুপের জৈনক এক কন্ট্রাক্টর নাসির উদ্দিন। ঐ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কাজ পাওয়ার এক সপ্তাহের মাধ্যে সিংগাইর টু মানিকনগর পর্যন্ত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে মেরামতের প্রস্তুতি নেয়।
কিন্তু রহস্য জনক কারণে রাস্তাটি খোঁড়াখুঁড়ির দেড় বছর পার হলেও রাস্তাটি মেরামত কিংবা পাকা করণের কৃর্তপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নাই। খোঁড়াখুড়ির পর পথচারী হ্যালোবাই, সিএনজি, অটোরিকসা, চালক চাকুরিজীবি, স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীদের ভোগান্তি আরও দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধ রোগী, গর্ভবতী মহিলাদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। রাস্তাটি খানাখন্দে কারণে গাড়ির গুরুত্ব পূর্ণ যন্ত্রাংশ স্বল্প সময়ে নষ্ট কিংবা অকেজো হয়ে যাচ্ছে।
বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাতে পাশের বাড়িগুলো ধূলাবালি থেকে মুক্ত হলেও রাস্তাটি কাঁদা পানি জমে একাকার হয়ে যায়। অটোচালক কাউসার (২৪) বলেন, ছয় মাস ধরে গাড়ি কিনেছি, রাস্তা উচুঁ, নিচু ,ভাঙ্গা চুরা হওয়ায় অল্প দিনেই গাড়ী পুরাতন হয়ে গেছে। যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ায় যা ইনকাম করি তা গাড়ী মেরামতেই চলে যায়।
উপজেলা প্রৌকশলী রুবাইয়েত জামান জানান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির জন্য কাজটি বন্ধ হয়েছে। আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।