সংবাদ জমিন, অনলাইন ডেস্ক ঃঃ
গত ২৭/০১/২০২২ খ্রিঃ রাত আনুমানিক ০১:০০ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল সিংগাইর থানাধীন নতুন ইরতা সাকিনের মোঃ আব্দুল হান্নানের পুত্র মোঃ নুর উদ্দিন (৩২) এর বসত ঘরের একতলা বিল্ডিংয়ে দরজা ভাঙ্গিয়া রুমে প্রবেশ করিয়া মোঃ নুর উদ্দিন সহ তাহার স্ত্রী মনি বেগম (৩২), ছেলে রাব্বি (০৯) ও ভাগিনা বাবলু (১৬)-কে মারপিট করাসহ পিঠমোড়া করিয়া হাত ও মুখ বাধিয়া এবং মারাত্মক অস্ত্রের ভয় দেখাইয়া মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও ৪ ভরি ০৮ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার লুন্ঠন করে। অতঃপর ডাকাত দল মোঃ নুর উদ্দিনের প্রতিবেশী প্রবাসী শাকিল খানের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৩০) এর বসত ঘরের দরজা ভাঙ্গিয়া ভিতরে প্রবেশ করিয়া মর্জিনা বেগমকে মারপিট করিয়া ০৫ ভরি ০৬ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার ও ২০ ভরি ওজনের রুপার অলংকার লুন্ঠন করে। ডাকাতিতে সর্বমোট ৮,৩৩,৬০০/- টাকা লুন্ঠিত হয়। উক্ত ঘটনার বিষয়ে সিংগাইর থানায় অভিযোগ আসলে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন ডাকাতদের বিরুদ্ধে সূত্রোক্ত মামলাটি রুজু হয়।
মামলা রুজু হওয়ার পর মানিকগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মাদ গোলাম আজাদ খান, পিপিএম-বার মহোদয় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জনাব মোহাঃ হাফিজুর রহমান মহোদয়-দ্বয়ের দিক নির্দেশনায় সিংগাইর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জনাব মোহাঃ রেজাউল হক, সিংগাইর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জনাব শেখ মোঃ আবু হানিফ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই/ শেখ তারিকুল ইসলাম, এসআই/ আলমগীর, এএসআই/মহসীন সহ অন্যান্য অফিসার ও ফোর্সদের সমন্বয়ে চৌকশ অভিযানিক টিম গঠন পূর্বক অফিসার ইনচার্জ জনাব সফিকুল ইসলাম মোল্যার সার্বিক সহযোগিতায় ক্লুলেস ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারসহ বিশ্বস্ত সোর্স নিয়োগ করে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে থাকেন। সকল অফিসারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাত্র ১২ দিনের মধ্যেই এই ক্লুলেস ডাকাতির মামলার সাথে সম্পৃক্ত দুর্ধর্ষ ডাকাত এবং আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য ১। মিন্টু@সামাদ@বাচ্চু (৬০), পিতা- মৃত আঃ ওহাব, সাং- বালিথা, ইউনিয়ন- সুতিপাড়া, ২। রিপন@সাইফুল (২৯), পিতা- মৃত কফিল উদ্দিন@সফুর উদ্দিন@সফু মোল্লা, মাতা- নুর জাহান, সাং- মধুডাঙ্গা, ইউনিয়ন- কুশড়া, ৩। বিশু (৩৫), পিতা-মৃত রাব্বি, সাং- কুনি কুশরা, ইউনিয়ন- কুশরা, ৪। আশরাফুল মোল্লা (২০), পিতা- মৃত মঞ্জু মোল্লা, সাং- কালামপুর চরপাড়া, ইউনিয়ন- সুতিপাড়া, ৫। আঃ কাদের @স্বপন (৩৫), পিতা- মোঃ সানাউল্লাহ, সাং- গাংগুটিয়া, সর্ব থানা- ধামরাই, জেলা-ঢাকা, ৬। তাইজুদ্দিন (৬০), পিতা- আকবর, সাং- গোসাত্রা উত্তর কাঞ্চনপুর, ইউনিয়ন- আটাবর, ৭। মনির (৩৭), পিতা- মৃত ছাত্তার, সাং- আটাবর, উভয় থানা- কালিয়াকৈর, জেলা- গাজীপুর, ৮। মোঃ বাদল@ মনোয়ার হোসেন (২৮), পিতা- মৃত আব্দুল ফকির শেখ, মাতা- মনোয়ারা বেগম, সাং- ধুসরিয়া গোপালপুর, ইউনিয়ন- রাজাহার, থানা- গোবিন্দগঞ্জ, জেলা- গাইবান্ধাদের ঢাকা জেলার ধামরাই, আশুলিয়া, সাভারসহ গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত ডাকতদের দেখানো মতে লুন্ঠিত মালামালের মধ্য হইতে ০১ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, নগদ ৫০০০/-টাকা ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত চাপাতি, ছুরা ও ০৪ টুকরা লোহার রড উদ্ধার করা হয়। অদ্য আসামীদের ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মতে জবানবন্দি গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ আদলতে প্রেরণ করা হচ্ছে। মামলার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার এবং লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জোর চেষ্টা অব্যাহত আছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি