সিংগাইরে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টার মামলায় আসামী ধরতে গিয়ে ৩ পুলিশ সদস্য আহত,গ্রেফতার-৪

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে সাংবাদিক মাসুৃম বাদশাকে হত্যা চেষ্টার মামলায় আসামী ধরতে গিয়ে আহত হয়েছে ৩ পুলিশ সদস্য। আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ১পুলিশ অফিসার ও ২ কনস্টেবল রয়েছে। এ ব্যাপারে ২০ এপ্রিল আহত পুলিশ অফিসার এসআই পার্থ ঘোষ বাদী হয়ে ৯ জনকে সুনির্দিষ্ট ও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে সিংগাইর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।ইতিমধ্যে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো,উপজেলার ধল্লা লক্ষীপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন গাদু’র ছেলে আক্তার হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার চায়না (৩৫),মৃত রুহুল শিকদারের ছেলে আল ইসলাম (২৯) ও মো. আব্বাস মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন (২৩)।

জানা গেছে,গত ১৫ এপ্রিল সকাল পৌণে ১০ টার দিকে দৈনিক ভোরের কাগজ সিংগাইর প্রতিনিধি ও দৈনিক ফুলকি’র স্টাফ রিপোর্টার মাসুম বাদশাহ ‘র ওপর হামলা হয়। ওই ঘটনায় মাসুম বাদশাহ বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮-১০ জনের নামে পরদিন থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ২ নং আসামী হুমায়ুন ওরফে ইয়াবা হুমায়ুনকে তার বাড়ি উপজেলার ধল্লা লক্ষীপুর গ্রামে গত ১৯ এপ্রিল দুপুরে মামলার আসামী পার্থ শেখর ঘোষ দুই কনস্টেবল মাহাবুবুর রহমান ও শহিদুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে। এ সময় তার পরিবারের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা এবং হুমায়ুনকে গ্রেপ্তারে বাধা প্রদান করে। হুমায়ুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। তার আরেক সহযোগী আমিনুর কনস্টেবল মাহাবুবকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। সেই সাথে তাকেও গলা চেপে ধরে হত্যা চেষ্টা করে।হামলায় আহত হয় অপর কনস্টেবল শহীদুল। খবর পেয়ে থানার অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। আহত পুলিশ সদস্যরাহাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এলাকাবাসী জানায়,পুলিশ মব জাস্টিসের শিকার হয়েছে। পুলিশের উপর হামলার ঘটনা আড়াল করতেই হুমায়নের স্ত্রী সালমাকে দিয়ে নাটক সাজানো হয়েছে।দেয়া হয়েছে পুলিশের উচ পর্যায়ে আবেদন।

ওসি তৌফিক আজম জানান,সাংবাদিক এবং পুলিশের উপর হামলার কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।কোন ছাড় দেয়া হবে না।

শিরোনাম