সিংগাইর (মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি :
মানিকগঞ্জের সিংগাইর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজ প্রতিনিধি এবং দৈনিক ফুলকির স্টাফ রিপোর্টার মাসুম বাদশার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে তার বাম হাত।
এদিকে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সিংগাইর প্রেসক্লাবের এক জরুরি সভায় গৃহীত নিন্দা প্রস্তাবে জড়িতদের শাস্তি দাবি করা হয়। এছাড়া সিংগাইর ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন সংবাদ কর্মীরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল পৌণে ১০ টার দিকে উপজেলার ধল্লা বাজারস্থ তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ধল্লা পল্লী উন্নয়ন ও সমাজ কল্যাণ সংস্থার অফিসে ঢুকে ধল্লা মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের পুত্র আব্দুস সালাম(৫৩) এর নেতৃত্বে ধল্লা লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন গাদুর পুত্র হুমায়ন (৪০), তুফান আলীর পুত্র আনোয়ার হোসেন (৪০), কাউছারের পুত্র জিসান (২২) ও জোনাব আলীর পুত্র ওয়াজ উদ্দিন (৪৫) সহ অজ্ঞাত ৮-১০ জন দা,চাপাটি, লোহার রড ও লাঠিশোটা নিয়ে সাংবাদিক মাসুম বাদশা’র ওপর হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল। এলোপাথাড়ী মারপিটের সময় হুমায়নের রডের আঘাতে তার বাম হাত ভেঙ্গে যায়। এ সময় আনোয়ার দা দিয়ে মাথা লক্ষ্য করে কোপ দেয়। যা ডান হাতের কব্জিতে লাগে। তার ডাক চিৎকারে ওই অফিসের লোকজন ও এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকাস্থ পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করে।
চিকিৎসাধীন সাংবাদিক মাসুম বাদশাহ বলেন, হামলাকারীরা এলাকার মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত । তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে সেকেন্ড ইন কমান্ড হুমায়নের ভাই ও বোনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ দৈনিক ভোরের কাগজ ও দৈনিক ফুলকি পত্রিকায় একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছে। এরই জের ধরে তারা হামলা ও হত্যার পরিকল্পনা করে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তারা খোলশ পাল্টে বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দিয়ে অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং আমার কাছে চাঁদাদাবি করে।সংবাদ প্রকাশ ও চাঁদা না দেয়ার জের ধরে আমাকে তারা হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।
সিংগাইর থানার ওসি জে ও এম তৌফিক আজম বলেন,সাংবাদিকের উপর হামলার খবর শুনেছি,অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।