সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃঃ
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বায়রাতে রাস্তা নির্মাণের শুরুতেই নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করে রাস্তা পাকা করণের অভিযোগ উঠেছে। এ নিম্নমানের খোয়া দিয়ে রাস্তার কাজ করার কারণে অল্প দিনেই রাস্তা ভেঙ্গে কার্পেটিং উঠে গিয়ে-খানা খন্দে হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়েই কি ভাবে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করছে তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানাগেছে,উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের কাশেমুল উলুম মাদরাসা ওএতিমখানা হতে বায়রা বাজার চৌরাস্তা পর্যন্ত ১.৪ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের দরপত্র আহবান করে এলজিইডি অফিস। এ রাস্তার ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা।
সে মোতাবেক দরপত্রের মাধ্যমে কাজ পান মানিকগঞ্জের জনৈক হাসান নামে এক ঠিকাদার। সে তার কাজটি লাভে বিক্রি করে দেন আবজাল ও আতাউল নামে সিংগাইরের দুই ঠিকাদারের নিকট। গত ৬/৮ মাস আগে রাস্তার কাজ শুরু করে ঐ ঠিকাদাররা। সরেজমিনে দেখা যায়, দুই পাশে নিম্নমানের ইটের খোয়া ভেঙ্গে রাস্তার কাজে ব্যবহার করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়একাধিক ব্যক্তি বলেন,কাজবন্ধ হওয়ার ভয়ে নিম্ন মানের ইট ব্যবহার করিলেও কিছু বলতে পারছি না। ভাল-মন্দ যাই হোক তবুও তো পাকা রাস্তা পাচ্ছি। যে কই দিন যায়,যাক।
এদিকে ভূমদক্ষিণ দক্ষিণ পাড়া কামালের বাড়ি হতে ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা করণেও ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী। এ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম জানা যায়নি। ঐ এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান,রাতের আধাঁরে কোন রকম দায়সারাভাবে কাজ করে সটকে পড়েছে। রাস্তার ২ টি পুকুর ও কামালের বাড়ির সামনে যে পেলা সাইডিং ব্যবহার করা হয়েছে, তা বর্ষাকালে রাস্তা ধ্বসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঠিকাদার আবজাল বলেন, ফোনে কথা না বলে সাক্ষাতে কথা বলেন, তাতে বুঝতে পারবেন। উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রুবাইয়েত জামান বলেন, কোন ক্রমেই নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের সুযোগ নাই, খোয়ার মান ভাল দাবি করে তিনি বলেন দীর্ঘদিন ঐ রাস্তার কাজ বন্ধ ছিল গাড়ি চলতে চলতে ধূলা বালিতে ইটের মান এ রকম মনে হচ্ছে।