মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চান্দহরের ফতেপুর মেয়র রমজান আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে মাধ্যমিক স্কুল এন্ড কলেজে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে নানামুখী গুঞ্জণ। অতিরিক্ত ফি আদায়ের ফলে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক হয়রানির শিকার হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ ১৩ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলে।তবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দেয়ার সুযোগ পায়। গত রোববার (৩ এপ্রিল) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য রেজিস্ট্রেশন বাবদ বোর্ড ফি ১ হাজার ১৭৫ টাকা, কেন্দ্র ফি ৪৪০ টাকাসহ মোট ফি ১ হাজার ৬১৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে বোর্ড ফি ১ হাজার ৮৫ টাকা, কেন্দ্র ফি ৪১০ টাকাসহ মোট ১ হাজার ৪৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
তবে এসব নির্দেশনাকে থোরাই কেয়ার করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়েছে। ঐ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে চার হাজার পাঁচ শত টাকা ফরম পূরণের জন্য আদায় ঘোষণা দেয়া হলেও তারা করা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, অনেকটা বাধ্য করেই স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করছেন। স্কুল নির্ধারিত ফি না দিলে ফরম পূরণ না হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র রমজান আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, তাদের স্কুল সরকারি না হওয়ায় অন্ন স্কুলের মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। আর আমরা ২৫০০/ টাকা নিচ্ছি।
স্কুলের সাবেক সভাপতি শাহজাহান সিকদার বলেন, আমরা অতিরিক্ত কোন টাকা নিচ্ছি না, অন্ন স্কুলে যে ভাবে নিচ্ছে আমরা তাই নিচ্ছি।
স্কুল পরিচালনা পরিষদের সদস্য বলেন, আমি শুনেছি চার হাজার পাঁচ শত টাকা বিষয়ে, তবে এ ব্যাপারে আমাদের সাথে কোন আলাপ-আলোচনা না করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান।
৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার দিন ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে প্রধান শিক্ষকের সাথে। তিনি জানান, ২৫০০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি আর বাকি ২০০০ হাজার টাকা কোচিং ফি বাবদ নেয়া হয়েছে। পরিচালনা পরিষদের সভিাপতি আব্দুস সালাম জানান, অন্যান্য স্কুলে যা নিয়েছে,আমরা তাই নিয়েছি।