মো. আলত্ফ হোসেন ঃঃ
জীবন যেমন পুষ্প শয্যা নয় তেমনি সফলতাও রাতারাতি ধরা দেয় না। সফলতাকে অর্জন করে নিতে হয়। এ পর্যন্ত যারা পৃথিবীতে সফল হয়েছেন তাদের সফলতার পেছনে রয়েছে বিরাট ইতিহাস। কর্মই সফলতার উচ্চাসনে নিয়ে যায়।যাঁরা জীবনে সফল হয়েছেন,তাঁদের জীবনে অনেক সাধনা করতে হয়েছে।কারণ সফল ব্যক্তিদের একটি লক্ষ্য থাকে। আর লক্ষ্য ছাড়া সফলতা অনিশ্চিত। পরিশ্রম করলে যে কেউ তার ফল পাবেন। শুধুমাত্র পরিশ্রমই মানুষকে তার স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করে এবং সফল গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।যারা জীবনের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে ও বর্তমান কর্মধারাকে অব্যাহত রাখতে এবং নিজেকে যোগ্য করে সমাজে উপস্থাপন করতে সমর্থ হয়েছেন তারাই জয়িতা। নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের মূর্ত প্রতীক জয়িতা। সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এই জয়িতাদের খুঁজে বের করার উদ্যোগ নিয়েছে। উদ্যোকটির নাম ‘‘জয়িতা’’ অন্বেষণে বাংলাদেশ। জয়িতাদের পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে ১। অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী। ২। সফল জননী নারী। ৩। নির্যাতনে বিভীষিকা মুছে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন যে নারী। ৪। সমাজ উন্নয়নে অবদান রেখেছেন যে নারী ৫। শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী। মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরি ভিত্তিক মনোনীত জয়িতার মধ্যে ৫ নারী জয়িতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মনে করেন জয়িতারা বাংলাদেশের বাতিঘর। তাদের দেখে অন্য নারীরা অনুপ্রাণিত হলে ঘরে ঘরে জয়িতা সৃষ্টি হবে। আর তাহলেই বাংলাদেশ তার নির্দিষ্ট লক্ষে পৌঁছে যাবে। প্রিয় পাঠক আসুন পরিচিত হই তাদের সাথে।
অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সাফল্য অর্জনকারী নারীঃ
নাম হোসনেআরা। চরমগড়া,পোঃবলধারা,উপজেলাঃসিংগাইর,জেলাঃ মানিকগঞ্জ। পিতা-মৃত: রশিদ।স্বামী রাজা মিয়া। হোসনেআরার বিয়ের পর স্বামী সংসারে অনেক দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিয়া সংসার করেন।স্বামীর আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো ছিলো না। তাই বিভিন্ন এনজিও মাধ্যমে টাকা ঋণ গ্রহণ এখানকার অন্যের জমি বর্গা নিয়ে শাকসবজি আবাদ করতে থাকে।সেগুলো বাজারে বিক্রি করিয়া প্রচুর অর্থ আয় করে। তারপর ৫ টি গরু ক্রয় করে লালন পালন করে দুই (২) বছর পর বিক্রি করে। এছাড়া ছোট একটি মুরগীর খামার করে সেখানে প্রচুর অর্থ আয় করতে থাকেন। আস্তে আস্তে হোসনেআরার সংসারে পরিবর্তন হতে থাকে। এখানকার লোকজন মূল্যায়ণ করে এবং বর্তমানে তার আর্থিক অবস্থা খুবই ভালো। সে উপজেলা সমবায় অফিস,সিংগাইর,মানিকগঞ্জ হতে একটি উৎপাদনমূখী সমবায় সমিতি রেজিস্ট্রেশন করে পুরুষ ও মহিলাদের নিয়ে মৎস খামার করেন এবং কৃষি খাতে বিভিন্ন শাকসবজিও উৎপাদন করে থাকেন। হোসেনেআরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং বেকার মেয়েদের সেলাই কাজে সহযোগিতা করেন। বর্তমানে হোসনেআরা সমাজে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে পরিচিত।
সফল জননী নারীঃ
ফিরোজা হকের পিতার নাম মো.আজমত আলী মাস্টার,মাতা মাজেদা বেগম,স্বামী মোহাম্মদ ফজলুল হক,গ্রাম আজিমপুর ৩নং ওয়ার্ড,সিংগাইর পৌরসভা,সিংগাইর,মানিকগঞ্জ।ফিরোজা হক সিংগাইর উপজেলা সিংগাইর পৌরসভার আজিমপুর গ্রামে এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত যৌথ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করে। তার পিতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। শিক্ষক পরিবারে জন্ম নেওয়ার ফলে শিক্ষার বিষয়ে ফিরোজা হক এর প্রবল আগ্রহ তৈরি হয় সেই ছোটবেলা থেকে। সে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশুনা করলেও শিক্ষার প্রতি তার রয়েছে অসীম দুর্বলতা। সময় পেলে সে এখনো বই পড়ার চেষ্টা করে। ফিরোজা হকের যেহেতু অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যায় এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আর না থাকায় সে মনে মনে সংকল্প করে তার সন্তানদের উচ্চ শিক্ষিত করবে। ফিরোজা হক এর বিয়ে হয় একটি কৃষি প্রধান পরিবারে। যদিও তার স্বামী কলেজের একজন শিক্ষক ছিলেন। কলেজ শিক্ষক স্বামীর অনুপ্রেরণা এবং তার ছোটবেলার স্বপ্নকে ভর করে সে এগিয়ে যেতে থাকে এবং তার সন্তানদের উচ্চ শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়। ফিরোজা হকের পিছনে তাকে নিরলস শ্রম এবং শিক্ষা সংক্রান্ত আধুনিক চিন্তা চেতনা প্রয়োগ করতে হয়েছে।কৃষক পরিবারে বড় বউ হিসেবে প্রাথমিক অবস্থায় তাকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই সকলের জন্য সকালের নাস্তা তৈরি এবং ক্ষেতে খাবার পাঠানো তারপর বড় সন্তানকে স্কুলে পাঠানো,সারাদিন কৃষি সংক্রান্ত পারিবারিক কার্যাদি শেষ করে তার সন্তানকে পড়াতে বসানো ইত্যাদি। এসমস্ত কাজে তারস্বামী সবসময় তাকে মানসিক সহায়তা দিয়েছে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত শিক্ষকগণ সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করার ফলে ফিরোজা হক সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।
নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যামে জীবন শুরু করেছেন যে নারীঃ
রহিমা বেগমের পিতা মো.মোকছেদ আলী,স্বামী আ.সাত্তার,গ্রাম আংগারিয়া,সিংগাইর পৌরসভা। রহিমা বেগমের বিয়ে হয়ে ১৫ বছর বয়সে। বিয়ের দিন তার স্বামী পালকি থেকে নেমে তাকে বলেছিলো তার স্বামী তাকে বিয়ে করছে বাবা তার মার জন্য। স্ত্রী হিসেবে মেনে নেয়নি তখন রহিমার স্বামী। এইভাবে রহিমার জীবন শুরু হয়। লাথি মার খেয়ে অনেক অত্যাচার নির্যাতনের মধ্য দিয়ে সংসার করেছে রহিমা বেগম। শ্বশুর-শ্বাশুরী এমন কি আত্মীয়-স্বজন কেউ দেখতে পারতোনা রহিমাকে।অনেক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে সে সংসার করে। তার ০৪ জন সন্তান (ছেলে-মেয়ে) আছে। এই সংসারে ছেলে মেয়ে ফেলে রহিমা ছাড়তে পারে নাই। এক সময় রহিমা বেগমের স্বামী তাকে বাড়ি থেকে তাড়াইয়া দেন। তখন রহিমা বেগম তার সন্তান (ছেলে-মেয়ে) নিয়ে মানুষের বাড়ি কাজ করতে থাকে। বসবাস করার জন্য তার ভাই তাকে আশ্রয় দেন। কিছুদিন পর তার স্বামী মারা যান। সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে ঝাড়ুদারের চাকুরি নেয় রহিমা বেগম। দীর্ঘদিন সেখানে কাজ করে এবং মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে। এইভাবে সে পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করে জমি-জমা কিনে দু-তলা বাড়ি ও দোকান করে। যতবার নির্যাতনের চিহ্ন দেখতো ততোবার রহিমা আরো জীবন সংগ্রামে সফল হওয়ার জন্য চেষ্টা করেছেন। রহিমা বেগমের মতো এতো নির্যাতন যেনো কোনো নারীর না হয়। এখন সে অনেক সুখে আছে।
সমাজ উন্নয়নে অবদান রেখেছেন যে নারীঃ
সালেহা জাহানের জন্ম এক মধ্যবিত্ত পরিবারে। তিন মেয়ের পর সালেহা জাহানের জন্ম। প্রচলিত সমাজে সবার একটা ভ্রান্ত ধারণা ছিলো যে,ছেলে সন্তান জন্ম নিলে সে পরিবারের জন্য উপার্জন করবে ও ভবিষ্যতে সংসারের হাল ধরবে। সালেহা জাহানের কর্ম জীবন শুরু হয় শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে। ভার্কের উদ্যোগে গ্রামীণ শিশু শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় যে স্কুল পরিচালনা করে সেখানে তাকে ৬০০ টাকা বেতনে কিছুদিন শিক্ষকতা করতে হয়েছে। সালেহা জাহানের জীবনে নানান প্রতিকূলতা জয় করে এই পর্যায়ে এসেছেন। বড় সংসার ছিলো সালেহা জাহানের পরিবারে।
নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় বিদেশে চলে যায় সালেহা জাহান। বিদেশ যাওয়ার পর বিদেশে বিপাকে পরে সালেহা জাহান। ভাষা না জানায় তাকে তার মালিক একটি ফুলের দোকানে কাজ নিয়ে দেয়। সেখানকার ভারতীয় মালিকের কুনজর পরে তার দিকে।তাই সে কিছুদিন পরে কাজটা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।পরবর্তীতে সালেহা জাহান বিউটিফিকেশনের কোর্স সম্পন্ন এবং ফিজিওথেরাপির ট্রেনিং গ্রহণ করে।পরে একটা মহিলাদের সেলুনে কাজ নেয় সালেহা। সেখানকার আরবি মহিলা মালিক একজন সফল ব্যবসায়ী ও অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তিনি তার কাজের দক্ষতা দেখে খুশি হয়ে পুরো সেলুনের ম্যানেজারের দায়িত্ব দেন। দীর্ঘদিন সেখানে সুনামের সহিত চাকুরি করে সালেহা জাহান। সেখানেও নারীর অসহায়ত্ব দেখেও সহযোগিতার হাত বারিয়ে দিয়ে মানুষের বিপদে-আপদে তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন সালেহা জাহান। অসহায় নারীদের সালেহা বেগম নিজেই উদ্যোগ নিয়ে তাদেরকে বিদেশের কাজকর্মের ধারণা ও ভাষাসহ কাজ শিখিয়ে নিজের তত্ত্বাবধানের পাঠিয়ে দেন। এখন তারা সফল রেমিটেন্স যোদ্ধা।
সালেহা জাহান অনেককেই এখনো পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। একসময় সালেহা জাহান শক্তি ও সাহস নিয়ে নেমে পড়ে কিভাবে সমাজের সমস্যাগুলো দূর করা যায়। এলাকার সব বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওঠান বৈঠক করে সবাইকে বোঝাতে থাকে কিভাবে মেয়েদের সমাজের ও দেশের তথা পরিবারের সম্পদ হিসোবে গড়ে তোলা যায়। সেজন্য প্রথমে মেয়েদের বাল্যবিবাহরোধ করতে হবে,তাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে স্বর্নিভর করে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার নারীবান্ধব সরকার। বর্তমান সরকার দুস্থ,গরীব ও অসহায় নারীদের জন্য বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা করেছে। যেমন মাতৃকালীন ভাতা,বয়স্কো ভাতা,বিধাব ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা,স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা ও ঐচ্ছিক ভাতা ইত্যাদি। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের গরীব মহিলাদের খোঁজে-খুজে এনে উক্ত ভাতার আওতাভূক্ত করে দেয় এবং সরকারের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে গরীব ও অসহায় নারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ চালু করেছে।
যতদিন বেঁচে আছে ততদিন দেশের,সমাজের ও মানুষের সেবা করে যেতে চায় সালেহা জাহান। আর এ ক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। নারী ও শিশু ও কিশোরীদের পাশে থেকে তাদেরকে স্বনির্ভর মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট সালেহা বেগম। কিশোরী বয়স থেকে কাজের দিকে মনোনিবেশ করা সালেহা জাহানের তেমনটা লেখাপড়ার করার সুযোগ হয়নি। তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছেন। এর আগে ইউনিসেফের আর্সেনিক চিহ্নিত করণ প্রজেক্টে একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ইউনিয়নের দলানেতার ভূমিকা পালন করেছেন এবং ছোট একটি পরীক্ষার মাধ্যমে আর্সেনিকযুক্ত পানি বা আর্সেনিকমুক্ত পানি তা নির্ণয় করে জনসাধারণকে অবগত করে আর্সেনিক সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করেছেন। পেশাগত দিক দিয়ে সালেহা জাহান একজন কৃষি উদ্যেক্তা। তাছাড়া মেয়েদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী সামগ্রী যেমন-প্রকৃতির নির্যাস থেকে হাতে তৈরি চুলের তেল,ত্বকে ব্যবহারের জন্য গোলাপের তেল, প্রকৃতির ফেসপ্যাক,হেয়ারপ্যাক এবং বিভিন্ন হাতে তৈরি জিনিস তৈরে করে বাজারজাকত করেন। বর্তমানে তিনি একজন গরু ছাগলের সফল খামারী।বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সিঙ্গাইর উপজেলা শাখার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সবুজ পরিবেশ আন্দোলন কমিটির সহ-সভাপতি পদে নিযুক্ত আছেন। তিনি সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সালেহা জাহান নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী ঃ
শাহনাজ পারভীন।পিতা হাজী মো.ফজলুল করিম,স্বামী মোহাম্মদ মাসুদ রানা,গ্রাম উত্তর বকচর,ইউনিয়ন জামির্তা,সিংগাইর,মানিকগঞ্জ।বর্তমানে সে মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড এর ফাস্ট এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। সে ধল্লা ইউনিয়ন কাউন্সিল হাই স্কুল থেকে ১৯৯৩ সালে এসএসসিতে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ একজন ছাত্রী। এসএসসিতে সিংগাইর উপজেলা পর্যায়ে ১ম এবং মানিকগঞ্জ জেলার মধ্যে মানবিক বিভাগে ২য় হয়েছে। ১৯৯৫ সালে এইচএসসিতে বেগম বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ১ম বিভাগে পাশ করেছেন। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিভাগে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। অনার্স এবং মাস্টার্স শেষে সে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে চাকুরি করে।বর্তমানে সে ফাস্ট এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। শাহনাজ পারভীন বিবাহিত এবং তার এক পুত্র,এক কন্যা সন্তান আছে।শাহনাজ পারভীনের স্বামী খুব সহযোগী মনোভবের। শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে শাহনাজের অনেক চড়াই উৎরাই পার করতে হয়েছে। এই অবস্থানে আসা শাহনাজের জন্য মসৃন ছিলো না। সে অনেক সংগ্রাম করে জীবনে অনেক প্রতিযোগীতায় জয়ী হয়েছে। শাহনাজ পারভীন এর পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিলো না। তারপরও সে তার নিজের পড়াশোনার খরচ নিজেই চালিয়েছে।এখন সে একজন সফল নারী এবং অনেক চেষ্টা করে সমাজে দরিদ্র এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
লেখকঃ সাবেক জাতীয় ক্রীড়াবিদ,সভাপতি শারীরিক শিক্ষাবিদ সমিতি
চেয়ারম্যান গ্রিন ক্লাব,শিক্ষক,গবেষক,সাংবাদিক ও কলামিস্ট