মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ঃঃ
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে জয়মন্টপ উচ্চ বিদ্যালয়ের বনভোজনে গিয়ে ফেলে আসা ছাত্রকে আনতে গিয়ে ঐ ছাত্রসহ আহত হলো ৩ ছাত্র। এদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা গুরুতর। সে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ এ্যান্ড হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
জানা গেছে, করোনা বিধি নিষেধকে অমান্য করে সম্প্রতি ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নেতৃত্বে প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী বনভোজনে যায়। অর্থের অভাবে অনেক শিক্ষার্থী বনভোজনে যেতে পারেনি। নন্দন পার্কে বনভোজন শেষে ফেলে আসা হয় উপজেলার চরনয়াডাঙ্গী গ্রামের কাদেরের পুত্র ও ঐ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আশরাফুলকে। এ ঘটনায় তার অভিভাবকমহল চিন্তিত হয়ে পড়ে। এরপর একই গ্রামের কাজী মিজানূরের পুত্র মুশফিকুর রহমান, প্রবাসী কাজী মবজেলের পুত্র ফাহাদ(এসএসসি পরীক্ষার্থী) তাকে এগিয়ে আনতে যায়। আনুমানিক রাত ৯টার দিকে হেমায়েতপুর থেকে ঐ ৩ ছাত্র সিএনজিযোগে বাড়ি আসার পথিমধ্যে দেউলী কবরস্থানের পাশে পৌঁছলে একটি বেপরোয়া গতির ট্রাকের ধাক্কায় সড়কের দক্ষিণ পাশের খাদে সিএনজিটি পড়ে যায়। এ সময় ৩ ছাত্রসহ সিএনজির চালক ও ২ যাত্রী আহত হয়। ৩ ছাত্রের মধ্যে ফাহাদের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নেয়া হয়। বনভোজনে ফেলে আসা ছাত্র আশরাফুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং মুশফিকুর রহমানকে নেয়া হয় স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ ও আহত শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষকরা কেউ তাদের বাড়িতে দেখতে আসেনি। তবে এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীকে একাধিক শিক্ষক ছাড়াও প্রধান শিক্ষক বাবু রাধেশ্যাম দেখতে যান।
এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবুল হাসেম শিকদার জানান, বনভোজনে যাওয়ার ব্যাপারে আমি জানি তবে আমি যায়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সিরাজ-উদ-দৌল্লা জানান, আহত ছাত্রদের দেখতে না যাওয়া এটা শিক্ষকদের অমানবিক কাজ বলে আমি মনে করি।(এডিট)