স্টাফ রিপোর্টার ঃঃ
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে জয়মন্টপ ইউনিয়নের ভাকুম গ্রামের আ’লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য মো: ওলি আহম্মেদ মোল্লাকে গ্রেফতার করায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। কি কারণে আ’লীগের দু:সময়ের ত্যাগী এ নেতা গ্রেফতার করা হলো, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। অলি মোল্লার গ্রেফতার ঘটনাটি এখন এলাকার টক অব দ্য টাউনে পরিনত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জয়মন্টপ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক ইউপি সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মো: অলি আহম্মেদ মোল্লা দু:সময়ের বঙ্গবন্ধুর নির্ভীক সৈনিক, একজন ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতা। যে সময় জয়মন্টপ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের নাম নেয়ার মানুষ পাওয়া যেত না, ঠিক সে সময়ে তিনি লোকবল নিয়ে রাজপথে সরব ছিলেন। দল তখন ক্ষমতায় ছিলেন না। দলের হয়ে তিনি আজ অবধি যে ভূমিকা রেখেছেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। তবে দল ক্ষমতায় আসার পর তার যে মূল্যায়ন পাবার কথা ছিল, তা তিনি পাননি। এ নিয়ে তিনি উচিৎ কথা একটু বেশি বলতেন। এটা নেতারা ভাল দৃষ্টিতে নিতেন না।
এদিকে তিনি জয়মন্টপ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছিলেন। এ নিয়ে তিনি লবিং করেছেন পুরোদমে। কিন্তু তিনি কোথাও সাড়া না পেয়ে বিদ্রোহী হয়ে উঠেন। নিজেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে বর্তমান জয়মন্টপ ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শাহাদৎ হোসেনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ত্যাগী এ নেতার মন ক্রমেই বিদ্রোহী হয়ে উঠলে কিছুদিন ধরে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করতে থাকেন। রাজনৈতিক বিদ্রোহী আবেগ বশত শেয়ারিং পোস্টগুলো হেফাজতের পক্ষে ছিল। যা ছিল নিতান্তই রাজনৈতিক বিদ্রোহী আবেগ। এসব শেয়ারিং পোস্ট নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ছিল বিব্রত। তার প্রতিপক্ষ স্থানীয় আওয়ামীলীগ এ সযোগকে সঠিক ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ছাত্রলীগের এক নেতা বাদী হয়ে মামলা দিলে পুলিশ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়।
স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা বলছেন, দল ক্ষমতায় আসার পর মূল্যায়ন না পাওয়ায় পোস্ট শেয়ারিং ছিল বিদ্রোহী আবেগ, এটা তেমন কিছু নয়, দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নিলেই চলত। দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া নিয়ে তাকে সহযেই সংশোধন করা যেত। দলের নেতা-কর্মীরা আরো জানান, দলের মধ্যে অনেক হেফাজত সমর্থক ঘাপটি মেরে আছে, দল তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছে ? মানণীয় এমপির উচিৎ হবে তাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখা।
অপরদিকে জয়মন্টপ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সৎ,ন্যায়পরায়ন ও দু:সময়ের ত্যাগী বিপ্লবী নেতা এবং বর্তমান ঐ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ডা: রিয়াজুল ইসলাম জানান, তিনি দুঃসময়ের ত্যাগী নেতা, তার ত্যাগ ভুলবার নয়। ফেসবুকে শেয়ারিং পোস্টগুলো তার রাজনৈতিক বিদ্রোহী আবেগেরই বহি:প্রকাশ মাত্র। সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিলেই চলত। এত কঠিন ব্যবস্থা না নিলেও হতো। সবকিছু ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে আমি তার শীগ্রই মুক্তি কামনা করছি।