কোহিনূর ইসলাম রাব্বি ঃঃ
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে জামশা ইউনিয়নে ছোট বরুন্ডী-মাটিকাটা এলাকায় কালিগঙ্গার ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ভাঙ্গছে বাড়ি, ঝরছে অশ্রু। প্রতিবছরই কম-বেশি বাড়িঘর বিলীন হচ্ছে। অথচ এর পূর্বাঞ্চলে নদীর তীরবতী এলাকায় সরকার জিও ব্যাগ (ব্লক) ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করলেও পশ্চিমাঞ্চলে জিও ব্যাগ (ব্লক) না ফেলায় এসব বাড়িঘর নদীতে বিলীন হওয়া ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিন তদন্তে জানা গেছে, পানি বৃদ্ধির সময় এই এলাকায় তেমন ভাঙ্গন সৃষ্টি না হলেও পানি কমার সাথে সাথে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বিলীন হয়েছে ঐ এলাকার পর্বত, আহাইলা, মজর আলী, জালু, কামাল হোসেন, সোহরাব, আকবর হোসেন, আরশেদ, নোহাই ও তার ৪ ভাইয়ের বাড়ি নদীতে ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে।
এমনকি বাদ পড়ছে না মসজিদও। একটি মসজিদ নদীতে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়া পরিবারগুলো এখন করুণ দিনাতিপাত করছে। হাসি নেই তাদের মুখে। এসব দুঃস্থ পরিবারের পাশে কেউ এসে দাঁড়ায়নি। নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে অসহায় মানুষ দিন কাটাচ্ছে অন্যের বাড়িতে। এদিকে ভাঙ্গনের সংবাদ প্রচারের কথা বলে নয়ন ও ফেরদৌস নামে দু’ব্যক্তি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
চেয়ারম্যান মিজানূর রহমান মিঠু জানান, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। ইউএনও রুনা লায়লা নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে, যাতে পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়।