কোহিনূর ইসলাম রাব্বিঃ
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের চর পালপাড়া গ্রামের মো.সালাউদ্দিনকে হত্যার অভিযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।আদালতে মামলা হলেও প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ করেন মানববন্ধনে অংশ নেয়া সাধারণ মানুষ। তারা মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে চর পালপাড়া, চর চান্দহর ও চর চামটা গ্রামের সর্বস্তরের জনগনণর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় মো.আজিবর রহমান, মঞ্জরুল আলম, নিহতের মা সখিনা বেগম, ইকবাল হোসেন, তারিকুর রহমান আলাল, তোফাজ্জল হোসেন, মিজানুর রহমান,পল্লী চিকিৎসক শারিমন আক্তার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত ১১ এপ্রিল উপজেলার চর চামটা গ্রামের মহিলউদ্দিনের পুত্র অনিক (২২),কদম আলীর পুত্র আরিফ (২১) ও পার্শ্ববর্তী কেরানীগঞ্জ উপজেলার ইটাভারা গ্রামের সামসুলের পুত্র সুজন (২২) পাশের চরপালপাড়া গ্রামের মঞ্জুরুলের পুত্র সালাউদ্দিন(২৪) কে ডেকে নিয়ে যায়।পরে অনিক গংরা পিতা মঞ্জুরকে এনাম মেডিক্যালে ভর্তির খবর দেয় পিতা মঞ্জুরকে।কিন্তু এনাম মেডিক্যাল থেকে জীবিত রিলিজ দেয়ার কথা বলা হয়েছে।তাছাড়া অনিক গংরা মোটর সাইকেল দুর্ঘটনার কথা ৩টি স্থানের কথা স্বীকার করেছে।ঘটনার পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছে তারা। মানববন্ধনে এলাকাবাসীর প্রশ্ন,অভিযুক্তরা হত্যার সাথে সংযুক্ত না থাকলে কেন পালিয়ে বেড়াচ্ছে?ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ গড়িমসি করছে কেন, আমরা বুঝতেে পারছি না।
ঘটনাটির সর্বশেষ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,দাফনের পরে অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে যুবকের কাটা পরিধেয় বস্ত্র ও ফ্লাস-ফরমেট দেয়া মোবাইল। আর এ থেকেই এলাকাবাসীর সন্দেহের তীর এখন তাদের দিকেই।থানায় মামলা না নেয়ায়, ভুক্তভোগীর পরিবার মানিকগঞ্জ বিজ্ঞ সিংগাইর আমলি আদালতে একটি সি.আর মামলা নং ৩৫২ (সিং) ২৫ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ওসি তৌফিক আজম সাংবাদিকদের জানান,প্রাথমিকভাবে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের খবর জানতে পেরেছি।তবে এ নিয়ে থানায় কোন ইউডি মামলা হয়নি। বিজ্ঞ আদালতে মামলার আমরা প্রতিবেদন পাঠাবো।তারপর বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবো।