সিংগাইরে গাঁজর চাষে ১০ হাজার কৃষক স্বাবলম্বী

কোহিনূর ইসলাম রাব্বি ঃঃ
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে গাঁজর চাষ করে ১০ হাজার কৃষক স্বাবলম্বী হয়েছেন। ৩ দশক আগেও এসব পরিবারে অভাব-অনটন হাতছানি দিত, এখন সেসব পরিবারে সুখের হাতছানি। পাল্টে গেছে তাদের ভাগ্যের চাকা। তাই গাঁজরের অপর নাম ‘সবজি গোল্ড’।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় প্রায় ১১’শ হেক্টর জমিতে গাঁজর আবাদ হয়েছে। বৃষ্টিতে ৫০ হেক্টর জমির গাঁজর নষ্ট হয়েছে। ইতিমধ্যে গাাঁজর উঠানো শুরু হয়েছে। এ সময়টাকে বলা হয় আগ মৌসুম। উপজেলার জয়মন্টপ, সিংগাইর সদর, তালেবপুর, বায়রা ও শায়েস্তা ইউনিয়নে গাঁজর চাষ হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

১ বিঘা জমিতে গাঁজর চাষ করতে মোট খরচ লাগে ২০-২৫ হাজার টাকা। পাইকারি বিক্রি উঠে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। সময়ও কম লাগে। আনুমানিক ৩৫ বছর আগে থেকে সিংগাইরে গাঁজর চাষ শুরু হয়। এক সময় এসব কৃষকদের ঘরে অভাব-অনটন হাতছানি দিত। গাঁজর চাষে আজ তারা স্বাবলম্বী। তাদের ঘরে এখন সুখের হাসি। গাঁজর চাষ করে প্রায় ১০ হাজার কৃষক স্বাবলম্বী হয়েছেন। আবার অনেকে গাঁজরের ব্যবসা করে বেশ লাভবান হচ্ছেন, ব্যবসায়ীদের অনেকেই এখন ধনাঢ্য।

জয়মন্টপের গাঁজর ব্যবসায়ী আলমগীর হেসেন জানান, গাঁজর চাষীরা যেমন লাভবান ঠিক তেমনি আমরা গাঁজরের ব্যবসা করে লাভবান। গাঁজরের ব্যবসা করে আজ আমি স্বাবলম্বী। উপজেলা কৃষি অফিসার টিপু সুলতান সপন জানান, এবার গাঁজরের বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করি কৃষকরা ভাল লাভবান হবেন। গাঁজর চাষীদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করা সম্ভব, তার সবকিছুই আমরা করবো।

শিরোনাম