সিংগাইরে আওয়ামীলীগের ৪ প্রার্থীর মনোনয়ন লড়াই

কোহিনূর ইসলাম রাব্বিঃ
মানিকগঞ্জ-২ আসনের মনোনয়ন লড়াই জমে উঠেছে।কি চায়ের দোকান,কি হাট-বাজার,কি অফিস পাড়া,সর্বত্র একই আলোচনা।বিএনপি আন্দোলন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকায় তাদের প্রার্থীদের নিয়ে তেমন একটা আলোচনা পরিলক্ষিত না হলেও আওয়ামীলীগের ৪ প্রার্থীর মনোনয়ন লড়াই জমে উঠেছে।

জানা গেছে,মানকিগঞ্জ-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৪ প্রার্থীই সিংগাইর উপজেলার।এসব প্রার্থীরা হলেন,বর্তমান এমপি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম,এক সময়ের কৃতি ফুটবলার ও আওয়ামীগের সাবেক ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল,উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান ও ব্যবসায়ী জাহিদ আহমেদ টুলূ।কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রথমে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ছিলেন।২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে না আসায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি এমপি নির্বাচিত হন।আওয়ামীলীগে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন।কিন্তু আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভেঙ্গে গেছে তার গ্রুপ।তবে তিনি তোড়জোর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।প্রধানমন্ত্রীর নিকটতম হিসেবে তিনিই মনোনয়ন পাবেন এমনটিই আলোচিত হচ্ছে।

দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল তিনি সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা।২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে ৪ দলীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী বিএনপির সামসুল ইসলাম খান নয়া মিয়ার সাথে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন।তবে তিনি সন্মানজনক ভোট লাভ করেছিলেন।তৃণমূল পর্যায়ে তিনি এখনো জনপ্রিয় নেতা।জনাব টুটুল সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করছেন রীতিমত। ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন তিনি। শুধু আওয়ামীলীগ নন তিনি সব দলের কাছেই জনপ্রিয়।জনপ্রিয়তার তুরুপের তাস হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে তাকে।

মুশফিকুর রহমান খান হান্নান যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা।তিনি একাধিকবার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান।স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি একবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ নেতারও বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে।

ব্যবসায়ী জাহিদ আহমেদ টুলু রাজনৈতিক নেতা নন। প্রার্থী হিসেবে নতুন মুখ।বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তার অনুদান অসামান্য। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের হেভিওয়েট নেতাদের কব্জা করেছেন।তবে তৃণমূলে তার জনপ্রিয়তা নেই বললে চলে।তবে তার সমর্থকরা বলছেন,তিনিই মনোনয়ন পাবেন।

শিরোনাম