সজীব গ্রুপের কারখানাটি ছিল মূলত জেলখানা

 

সংবাদ জমিন রিপোর্ট ঃঃ
রূপগঞ্জের কর্নগোপ এলাকায় গড়ে তোলা সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল হাশেমের নামে হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানা। শ্রমিকদের বর্ণনা মতে, ওই কারখানার পরিবেশ ছিল অনেকটা জেলখানার মতো। জরুরি নির্গমনের কোন সিঁড়ি ছিল না। এ কারখানাতে কর্মরত অধিকাংশই ছিল শিশু শ্রমিক।

যাদের বেতন ছিল ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। বাইরে থেকে দেখতে খুব সান-সৈকতের হলেও কারখানাটিতে শ্রমিকদের কাজ করতে হতো জেলখানার কয়েদিদের মতো। ওই কারখানার বেঁচে যাওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেই মিলেছে এমন তথ্য। একই তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারাও।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, ভবনের প্রত্যেক ফ্লোরে নেট দিয়ে ব্যারিকেড ছিল। আবার কিছু কিছু জায়গায় তালাবদ্ধ ছিল। এর মধ্যেও আমরা কাজ করেছি।’ ‘কারখানাটিতে একাধিক খাদ্য তৈরি হতো। অনেক ছোট ছোট রুম ছিল। কারখানায় শ্রকিকের কাজ করার জন্য যে ধরনের পরিবেশ ও নিরাপত্তা থাকার কথা সেটি ছিল না। তাদের কাছে মনে হয়েছে এটি একটি জেলখানার মতো।

এদিকে কারখানাটিতে ফায়ার সেফটি ছিল না। তার জন্য ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ছিলনা। শ্রম অধিদপ্তর গেল মাসেই নোটিশ দিয়েছিল। আর এ নোটিশ দিয়েছিল শ্রম অধিদপ্তরের একটি টিম ঐ কারখানা পরিদর্শনের পর। টিমটি কারখানায় করোনাকালীনে স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে কি না, তা দেখতে গিয়ে কারখানার নাজুক অবস্থা তাদের পর্যবেক্ষণে আসে। কারখানায় শিশুশ্রম ছিল লক্ষণীয় ব্যাপার।

শিরোনাম