মোঃ আলতাফ হোসেন ঃঃ
সাধারণভাবে সংস্কৃতিক হলো বিশেষ কোনো জনগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য এবং জ্ঞান। যার মধ্যে ভাষা ধর্ম, খাদ্যভ্যাস, সামাজিক আচার সংগীত ও শিল্পকলা এই বিষয়গুলো অর্ন্তভূক্ত সংস্কৃতিক হরো মানব সৃষ্ট এমন সব কৌশল বা উপায় যার মাধ্যমে সে তার উদ্দেশ্য চরিতার্থ করে। স্যামুয়েল পুফেনডর্ফের সংজ্ঞা অনুযায়ী, “সংস্কৃতি বলতে সেই সকল পন্থাকে বোঝায় যার মধ্য দিয়ে মানব জাতি তাদের প্রকৃত বর্ষরতাকে কাটিয়ে ওঠে এবং ছলনাময় কৌশলের মাধ্যমে পূর্ণরূপে মানুষে পরিণত হয়।”
বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী ম্যাকইভার সংস্কৃতি সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেছেন, “ঈঁষঃঁৎব রং যিধঃ বি ধৎব ড়ৎ যধাব ও.’’ আমরা অথবা আমাদের যা কিছু আছে তাই আমাদের সংস্কৃতি । সংস্কৃতির মূল কথা নিজেকে সুন্দর করা, সভ্য করা,। প্রেম ও সৌন্দর্য সংস্কৃতির মূল আশ্রয়। একটি দেশের সংস্কৃতি সেই জাতির পরিচয় বহন করে। জাতিগতভাবে বাংলাদেশের একটি নিজস্ব সংস্কৃতি আছে। সেটাই আমাদের পরিচয়। বিশ^ায়নের সময়ে আছি আমরা। খুব সহজেই এখন সাংস্কৃতিক বিনিময় হচ্ছে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা, স্যাটেলাইট চ্যানেল ইত্যাদি অনুষঙ্গ আমাদের মূহুর্তেই জানিয়ে দিচ্ছে পৃথিবীর অন্য প্রান্তের খোঁজ খবর, তাদের চিন্তা ধারণা, সেখানকার জীবনাচরণ। কখনো কখনো আমরা নিয়ে নিচ্ছি তাদের সাংস্কৃতিক অনেক অংশই। এটা হবেই এবং এটা সহজও স্বাভাবিক। এ স্বাভাবিক এবং বৈশি^ক ব্যাপারই কখনো হয়ে ওঠে আত্মঘাতি। যখন কোনো সংস্কৃতি অন্য সংস্কৃতির উপর প্রভাবক হিসেবে চেপে বসে এবং সেই সংস্কৃতিক গ্রাস করে নিতে চায়, তখনই আমরা তাকে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বলছি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে শৈল্পিক প্রতিবাদের মাধ্যমে আমাদের এ সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হবে এ আগ্রাসন থেকে।
সংস্কৃতি মানুষকে পরিবর্তন করে, না মানুষ সংস্কৃতিক পরিবর্তন করে। এ নিয়ে ব্যাপক ধোঁয়াশা থাকলেও এ কথা সবাই মানতে বাধ্য মানুষ এবং সংস্কৃতিসহ অবস্থান করে। সে ক্ষেত্রে সংস্কৃতি মানুষের উপর কর্তৃক প্রভাব ফেলতে পারে। আবার মানুষ সংস্কৃতিক ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই প্রভাবের ধরণ সবসময় কল্যাণকর কিংবা কাম্য হয় না। প্রায়ই হয়তো সেটা হয়ে ওঠে আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ।
সাংস্কৃতিক আগ্রাসন শব্দটি ইদানিংকালে খুব বেশি শোনা যাচ্ছে। এর কারণ বাংলাদেশি সংস্কৃতিক বিদেশি সংস্কৃতি মিশে এক মিশ্র সংস্কৃতি তৈরি হচ্ছে । এর প্রভাব এতটাই যে মাঝে মাঝে স্বকীয়তা খুঁজে বের করতেই কষ্ট হয়। বিদেশি সংস্কৃতি ভালোবাসতে গিয়ে নিজের সংস্কৃতি হারাতে বসেছি। ভিন দেশীর সংস্কৃতি আমাদের ওপর এতো বেশি প্রভাব বিস্তার করছে যে আমরা কখনো কখনো যেনো ঐ সংস্কৃতির দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছি। আমাদের জাতীর জীবনে মূল্যবোধের অবক্ষয়েরও এটি অন্যতম কারণ।
এক সমাজ বিজ্ঞানী বলেন, ‘‘গধহ ফরবং যিবহ যরং যবধৎঃ ভধরষং ধহফ ধ হধঃরড়হ ফরবং যিবহ রঃং পঁষঃঁৎব ফরবং.” মানুষ মৃত্যুবরণ করে যখন তার হৃদযন্ত্রেও ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ঠিক তেমনি একটি জাতির ও মৃত্যু ঘটে। যখন তার সংস্কৃতিক হারিয়ে ফেলে।
বাঙালি জাতির মহান দার্শনিক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান, রাজনীতির মহাকবি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৯২০-১৯৭৫) বাঙালি জাতির এই মহানায়কের জন্ম না হলে হয়তো বাংলাদেশের জন্ম হতো না । বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশ এক সুতোয় গাথা। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮-এর সামারিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-এর ৬ দফা, ’৬৯-এর গনঅভ্যুত্থান, ’৭০এর নির্বাচনসহ প্রতিটি গনতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলন তিনি নেতৃত্ব দেন। তিনি ছিলেন বিশে^র শোষিত মানুষের অধিকার আদায় ও মুক্তির প্রতিভূ। তাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়। বিকাশ ঘটে বাঙালি জাতি সত্তার।
বঙ্গবন্ধুর শৈল্পিক ভাবনায় ছিলো বাংলা বাঙালি ও বাংলাদেশ। তিনি ছিলেন একজন শিল্পী তাঁর শৈল্পিক চেতনার বাস্তবায়ন ঘটে একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। বাঙালি জাতি হাজার বছরের পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী জাতি বঙ্গবন্ধুর শৈল্পিক চেতনার বিভিন্ন দিক আমরা পাই তাঁর অসমাপ্ত আত্ম জীবনী গ্রন্থটি বিশ্লেষণ করে। অসমাপ্ত আত্ম জীবনীতে বঙ্গবন্ধুর জীবনের ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক ও অন্যান্য ঘটনা এতে স্থান পেয়েছে। একটি স্বাধীন ভূ-খন্ডের স্বপ্ন, অনেকেই দেখেছে বহু দিন। কিন্তু বাস্তবে সেই স্বপ্নের রূপ কেউ দিতে পারে নি। কিন্তু সেই স্বপ্নের বাস্তব রূপ দিয়েছেন স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
প্রত্যেকটি মানুষের জীবনেই পরিবারিক মূল্যবোধ, পরিবেশ শিক্ষা, পিতামাতার ব্যক্তিত্ব শৈশব মানুষের চিন্তা, চেতনা ও মননে প্রভাব রাখে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উদার পরিবেশ মননশীল পারিবারিক মূল্যবোধ, শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির আবহে বেড়ে ওঠেছেন।
ভাষ আন্দোলনের চেতনা ছিলো বাঙালি জাতীয়দের চেতনা। বাঙ্গবন্ধুর শৈল্পিক চেতনার সর্বশ্রেষ্ঠ নিদর্শন হচ্ছে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। তিনি যে একজন শ্রেষ্ঠ বাকশিল্পী তা প্রমাণ করলেন এ ভাষণে। বাঙালি সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক বঙ্গবন্ধু এদেশের সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতি কর্মীদের নির্ভিয়ে এবং জোড়ালোভাবে স্বদেশের ভাষা সাহিত্য, সংস্কৃতির চর্চার কথা বলেন। বাংলা নববর্ষ বাঙালির সার্বজনীন বৃহত্তম উৎসব। পহেলা বৈশাখ উদযাপন বাঙালি জাতীয়তাবাদকে শানিত করে। বাঙালির রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার পহেলা বৈশাখ। বাঙালি জাতীয়বাদী চেতনাকে ধ্বংস করার লক্ষে ১৯৬০ এর দশকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রেরণার উৎস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংগীত, কবিতা, সাহিত্য, প্রভৃতি নিষিদ্ধ করে। ফল শ্রুতিতে পাকিস্তানি দোসরদের বিরুদ্ধে বাঙালির সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধি ভিত্তিক সমাজ প্রতিবাদ মুখর হয়ে ওঠে। ১৯৬১ সালে পূর্ব বাংলায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রবীন্দ্র জন্ম শত বার্ষিকী উদযাপিত হয়। একই বছর প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়। এসব প্রতিবাদী আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রবীন্দ্রনাথের এসা হে বৈশাখ দিয়ে শুরু হয়েছিলো নতুন রূপে বাঙালির প্রাণের উৎসব বৈশাখ উদযাপনের পথ চলে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর সর্ব প্রথম ১৯৭২ সালে পহেলা বৈশাখ সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন এবং জাতীয় উৎসব হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
আমি সাংস্কৃতিক শক্তিতে বিশ^াসী। সংস্কৃতির একটি অদৃশ্য শক্তি। এটি পাকিস্তান কিংবা ভারতে ততটার কার্যকর নয়। আমাদের দেশে শিশুদের ওপর অত্যাচার হলে মানুষ রুখে দাঁড়ায় । যখন পার্বত্য চট্টগ্রামে সহিংসতা হয়েছে তখন আমরা এর বলিষ্ঠ প্রতিবাদ করেছি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার ক্ষেত্রে আমাদের নাগরিক সমাজের একটা ভূমিকা আছে, যা মিয়ানমারের নেই। সেখানে রোহিঙ্গাদের ওপর এতো অত্যাচার হলো কিন্তু কেউ তাদের পক্ষে দাঁড়ালো না। ভারত আছে কিন্তু ভারত ক্রমাগত ডানপন্থী হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এখনো সংযত বোধ সাংস্কৃতি শক্তি পারিবারিক মূল্যবোধ আছে। তবে এটাও ঠিক এখন এমন একটা সময় চলছে যখন পৃথিবীব্যাপী একটা বিভৎসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এখানে আমরা তা থেকে দূরে থাকবো, গা বাঁচিয়ে চলতে পারবো, তা সম্ভব না। কিন্তু আমাদের চেষ্টা করতে হবে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক শক্তিকে এক করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। কারণ আমাদের একটা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আছে আমাদের সংস্কৃতিতে একটা ভারসাম্য আছে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির জরিপে দেখা যায়, সারা দেশে এখন ৭৪০টি সিনেমা হল আছে। নব্বইয়ের দশকে এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২০০ এর বেশি। বঙ্গ হওয়ার পথে আছে আরো ৪০০টি। এর মধ্যে ১১৫টি হল ঈদ-পূজা ও বিভিন্ন মৌসুমে দুই এক শিফট চলে।
চলচ্চিত্রের মন্দা ব্যবসায় হাতগুটিয়ে বসে আছে প্রযোজক প্রতিষ্ঠানগুলো হলে দর্শক ধারাবাহিকভাবে কমছে। নিম্ন মানের সিনেমা, আশ্লীলতার অভিযোগে উচ্চ মধ্যবিত্ত রুচিশীল দশক হল বিমুখ বেশ আগে থেকে। বিশেজ্ঞদের মতে, জীবন ঘনিষ্ট, বাস্তবধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণ না হওয়ায় বাংলা চলচ্চিত্র পিছিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রে রাজনীতিক মন্ত্রী সংসদ সদস্য, পুলিশ, সমাজ পতিদের নিয়ে বাস্তবধর্মী সিনেমা নির্মাণ হলেও বাংলাদেশে এমন ছবি স্পন্সার বোর্ডের ছাড়পত্র পাচ্ছে না। অনেক সময় বিভিন্ন অভিযোগে ছবি প্রদর্শনে বাধা দেয়ার ঘটনাও ঘটে।
বর্তমান বিশ^ আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নয়ন প্রসারিতার যুগ। এ যুগে চলেছে প্রতিযোগিতা মূলক একটি ব্যস্ততম সময়। এখন সচেতন মানব সমাজ তার স্বপ্ন সময়ে জীবনের গতি পরিবর্তন করতে সক্ষম হচ্ছে। সেই সাথে সময়কে তারা কাজে লাগিয়ে সর্বদা সম্মুখে এগিয়ে চলছে। এই সুযোগ ও এসেছে ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার বৌদতাতে। তবে ইলেকট্রোনিক মিডিয়া থেকে অপসংস্কৃতিক প্রবাহকে রোধ করতে হলে সর্ব প্রথম আমাদের নিজস্ব ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার উন্নয়ন এবং ব্যাপক সৃজনশীল শতাদর্শগত এবং প্রয়োজন। যার ফলে এদেশের সংস্কৃতি জাতীয় ঐতিহ্য ও ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত করা যাবে। তাছাড়া এদেশের সংস্কৃতি জাতীয় ঐতিহ্য ধর্মীয় চেতনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য দেশবাসিকে জাতি, ধর্ম, বর্ন, নির্বি শেষে সকলকে এক যোগে এগিয়ে আসা দরকার।
বর্তমান আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের সভ্যতার যুগে স্যাটেলাইটের ইতিবাচক দিকগুলো অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তবে একথা সত্যি যে এই ইতিবাচক দিক গুলো তখন উদ্ভাসিত হয় যখন কিনা এই মিডিয়া মানুষের কল্যাণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে কিংবা হলে কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে অপসাংস্কৃতিক দিকে প্রচার ঘটলে ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার নেতিবাচক দিকটা উদ্ভাসিত হতে থাকবে, তখন ইতিবাচক দিকটা দিনে দিনে অবহেলিত হয়ে অন্ধকার নিমজ্জিত হবে। মানুষ সেই সাথে তার নৈতিক আদর্শ বিসর্জন দিয়ে তাদের ঐতিহ্য সংস্কৃতির গৌরবোজ্জ্বল অহংকারকে ধৃলোয় মিশিয়ে অপসংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরবে। ফলে দেখা যাবে ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার কারণে একটি জাতির ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা ধ্বংস হতে পারে। আর তখন হবে অপসংস্কৃতির মুক্ত প্রবাহের মুক্ত স্রোতের নীল খেলা। যে খেলা যুগ যুগ ধরে গোটা বিশে^ অব্যাহত থাকবে।
লাগামহীন পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছি আমরা, অজানা কোন সাংস্কৃতিক গন্তব্যের দিকে। বিশ^ায়ন ও বাজার অর্থনীতির জোরালোর তাগিদে আমরা ছুটছিই কেবল। আমাদের জন্মের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখি, আমরা চেয়েছিলাম পশি^ম পাকিস্তানের বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রভাব থেকে আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির বিশুদ্ধতা রক্ষা করতে। ফলশ্রুতিতে আমরা শুরু করি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এর পথ ধরে আসে অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য স্বাধিকার আন্দোলন। স্বাধিকার সংগ্রাম থেকেই মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা। আজ যদি সেই জাতীয়বাদী চেতনা বিসর্জন দিয়ে পশ্চিম সংস্কৃতি কিংবা বিজাতীয় যেকোনো সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ করিা তাহলে এটা হয়ে ওঠবে আমাদের চরম দীনতা ও নৈতিক পরাজয়ের ক্ষমা অযোগ্য নিদর্শন।
লেখক: সাবেক জাতীয় ক্রীড়াবিদ(কারাতে ব্লাক বেল্ট ১ম ড্যান)
গবেষক,সাংবাদিক,কলামিস্ট ও চেয়ারম্যান গ্রিন ক্লাব, মানিকগঞ্জ