মাসুদ চৌধুরী সাঈদ ঃঃ
মানিকগঞ্জে স্ত্রীর পরকীয়ায় স্বামী রমজান আলীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় স্ত্রী রেশমা আটক হলেও ঘাতক প্রেমিক রশিদ এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের মৃত লেবু মিয়ার পুত্র রমজান আলী (২৮)। ঢাকা প্রিন্টিং প্রেসে চাকরি করতো। রমজানের মামাতো ভাই এলাকার মো:মোহন ব্যাপারীর বখাটে পুত্র রশিদ মিয়া (২৬) এর সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক থাকায় স্ত্রী রেশমাকে ঢাকায় নিয়ে যায়। তারপরও থেমে ছিল না যুগলের প্রেমলীলা।
সাপ্তাহিক ছুটিতে বাড়িতে আসে রমজান অসুস্থ্য মাকে দেখতে। গত ২৭ মে মাকে দেখার জন্য রওয়ানা হয় রমজান। উপজেলার মহাদেবপুর বাসস্ট্যান্ডে রাত ১০.৩০ ঘটিকায় নেমে মামা আলমাস বেপারীকে ফোনে বলে, মামা আমি মহাদেবপুর, মাকে চিন্তা করতে নিষেধ করো, আমি আসছি। তারপর থেকেই রমজানের ফোন বন্ধ হয়ে যায়।
সারারাত খুঁজে তাকে পাওয়া যায়নি। পরের দিন শুক্রবার সকালে পাশের এলাকায় ফসলি জমিতে রক্তাক্ত অবস্থায় রমজানের মৃতদেহ পাওয়া যায়। শিবালয় থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেন। ঘটনা সত্যতার জন্য,স্ত্রীসহ ৫/৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। খুনের সাথে জড়িত সন্দেহে স্ত্রী রেশমাকে পুলিশ কারাগারে প্রেরন করে। অন্যদের ছেড়ে দেয়।
২৯ মে রমজানের মা সাফিয়া বেওয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং শিবা ১২(৫) ২০২১। তদন্ত কর্মকর্তা বিনয় কুমার হালদার জানান, ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করি ২দিনের রিমান্ড মঞ্জর হয়। রিমান্ডে রেশমা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। রশিদকে ধরলে খুনের সাথে কারা জড়িত পেয়ে যাবো।