লাকসামে একাধিক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসা সভাপতি শ্রীঘরে

লাকসাম প্রতিনিধিঃ
লাকসাম-নাঙ্গলকোট রোডে মদিনাতুল উলূম জামিয়া নূরানী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি একাধিক ছাত্রের সঙ্গে বলাৎকারের ঘটনায় মাওলানা শরীফুর রহমান খন্দকার এখন জেলহাজতে। গতকাল এলাকাবাসী মাদ্রাসার সামনে ও বাজারে শরীফ হুজুরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও মাদ্রাসা বন্ধ করার জন্য বিক্ষোভ করে।

জানা যায়, মাওলানা শরীফুর রহমান নিজ জায়গায় মাদ্রাসাটি স্থাপন করেন এবং তিনিই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি। কওমি মাদ্রাসাটিতে প্রায় ৩০০ ছাত্র রয়েছে। এরমধ্যে হিফ্জ বিভাগে ৫০ জন আবাসিক ছাত্র, নূরানী বিভাগে ২৫০ জন ছাত্র। মাদ্রাসার মধ্যে সভাপতির জন্য আলাদা একটি বেডরুম রয়েছে। মাদ্রাসার স্বাস্থ্যবান ও সুন্দর ছেলেদেরকে পছন্দ করলে ওই রুমে ডেকে নিয়ে যেতেন। মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে হুজুর নাতি বলে ডাকতেন বলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান। গত ২২শে জুলাই হেফ্জ বিভাগের ছাত্র ফয়জুল্লাহকে (১৪) শরীফ হুজুরের হোন্ডা করে লাকসাম বাইপাস খন্দকার মার্কেটের চতুর্থ তলায় নিজস্ব রুমে নিয়ে যায় এবং ফয়জুল্লাহর সঙ্গে বলাৎকার করে। মাদ্রাসায় গিয়ে সে পালিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে মা-বাবাকে ঘটনাটি জানালে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।

শিরোনাম