সংবাদ জমিন ডেস্ক ঃঃ
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বাংলাদেশি একটি পরিবারের ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে, মা-বাবা, বোন ও নানিকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছে ওই পরিবারের দুই কিশোর ভাই। এক পারিবারিক বন্ধুর ফোন পেয়ে অ্যালেন এলাকার পুলিশ দুপুর সোয়া ১ টার ওই বাড়িতে গিয়ে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করে। পারিবারিক বন্ধুর সূত্র ধরে স্থানীয় পুলিশ জানায়, শহরতলির ডালাসের বাড়ীতে নিহতরা হলেন- সবচেয়ে কম ১৯ বছর বয়সী যমজ ভাই ফারহান এবং ফারবিন তৌহিদ, তাদের বড় ভাই তানভীর তৌহিদ (২১), তাদের বাবা-মা ইরেন এবং তৌহিদুল ইসলাম। এছাড়া তানভীর তৌহিদের নানির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
‘স্পষ্টতই দুই ভাই আত্মহত্যা করার জন্য একটি চুক্তি করেছিলেন এবং পরিবারের সবাইকে হত্যা করে তারপর তারা নিজেরা আত্মহত্যা করেন ,’ পুলিশ সার্জেন্ট জোন ফেল্টি ডালাস এ কথা জানিয়েছেন। অ্যালেন পুলিশ জানিয়েছে, ‘এই হত্যার জন্য দুইভাই দায়ী। মানসিক বিষন্নতা থেকে মুক্তি পেতে তারা এ কাজটি করেছে বলেও প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।’ পুলিশ বলছে, ঘটনার আগে ফারহান তৌহিদ ইনস্টাগ্রামে একটি দীর্ঘ সুইসাইড নোট পোস্ট করেছে। এতে সে লিখেছে “ হাই সবাই। আমি নিজেকে এবং আমার পরিবারকে হত্যা করেছি। ’ দীর্ঘ ওই সুসাইড নোট ফারহান আরও লিখেছে কী ভাবে সে নবম শ্রেণি থেকে মানসিক হতাশার বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
ইনস্টাগ্রাম পেজে সুইসাইড নোটে ফারহান তৌহিদ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লিখে , তার বড় ভাইও মানসিক হতাশার বিরুদ্ধে লড়াই করছে । সে তাকে একটি প্রস্তাব দিয়েছে। তার ভাই বলেছে, ‘আমরা যদি এক বছরে সবকিছু ঠিক করতে না পারি তবে আমরা নিজের এবং পরিবারকে হত্যা করব।’এদিকে ওই পরিবারের বাংলাদেশের পাবনায় এবং জময দুইভাই জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বলে জানা গেছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করছে অ্যালেন পুলিশ বিভাগ।