মানিকগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়ন লড়াই,কার অবস্থান কোথায়?

কোহিনূর ইসলাম রাব্বিঃ
মানিকগঞ্জ-২ আসনের মনোনয়ন লড়াই জমে উঠেছে।কি চায়ের দোকান,কি হাট-বাজার,কি অফিস পাড়া,সর্বত্র একই আলোচনা।বিএনপি আন্দোলন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকায় তাদের প্রার্থীদের নিয়ে তেমন একটা আলোচনা পরিলক্ষিত না হলেও মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বিএনপির স্থায়ীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্ত ও জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খানম রিতার আলেচনা নীরবে, নিভৃতে হচ্ছে। কিন্তু জমে উঠেছে আওয়ামীলীগের ৪ প্রার্থীর মনোনয়ন লড়াই।

জানা গেছে,মানকিগঞ্জ-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৪ জন ছিল এখন আবার জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল মাজেদ খানের কথাও শোনা যাচ্ছে। প্রার্থী সবাই সিংগাইর উপজেলার। অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন,বর্তমান এমপি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম,এক সময়ের কৃতি ফুটবলার ও আওয়ামীগের সাবেক ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক সম্পাদক এবং ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন নেতা দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল,উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান ও ব্যবসায়ী জাহিদ আহমেদ টুলূ।টুলুর তৃণমূলে পরিচিতি নেই। তবে হান্নানের সমর্থকরা টুলুর হয়ে মাঠে কাজ করছেন।তৃণমূলে জনপ্রিয় থাকলেও হান্নানের সমর্থকরা মনোনয়ন না পেলে তার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার আশা করছেন কর্মীরা। কিন্তু তারা পড়েছেন বিপাকে। হান্নানের গ্রুপ যদি টুলুর হয়ে যায়, তাহলে তারা কি করবেন?তবে এদের মধ্যে মনোনয়ন লবিংএ কন্ঠ শিল্পী মমতাজ বেগম এমপি ও আওয়ামীলীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং এক সময়ের কৃতি ফুটবলার দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুলের জোর লবিং চলছে।দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল তৃণমূলে জনপ্রিয় একজন নেতা।একবার এমপি নির্বাচন করেও ভাল ফলাফল করেছেন।হয় মমতাজ,নয়তো টুটুল মনোনয়ন পাবেন এমনটিই শোনা যাচ্ছে।অনেকে মানণীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রিয়ভাজন হিসেবে মনোনয়নে মমতাজকেই এগিয়ে রাখছেন।যদিও টুটুলের জনপ্রিয়তা বেশি।কিন্তু লবিংএ পিছিয়ে আছেন মমতাজের চেয়ে।কে মনোনয়ন পায় তা ্এখনি বলা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে স্ব স্ব প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা দাবি করছেন,মনোনয়ন তাদের নেতাই পাবেন এবং বিজয় লাভও করবেন।

শিরোনাম