সংবাদ জমিন রিপোর্ট ঃঃ
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিংগাইর ডিগ্রী কলেজের ভিপি মিরুকে। হত্যার নেপথ্য কারণ বেরিয়ে আসছে। চাঞ্চল্যকর ও মর্মান্তিক এ ঘটনায় পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। সরাসরি হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত পুলিশ আঙ্গুর মোল্লা ও হিমেলকে ইতিমধ্যে পাকড়াও করেছে।
তদন্তে জানা যায়, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিংগাইর ডিগ্রী কলেজের ভিপি ফারুক হোসেন মিরুকে সোমবার (১ মার্চ ২০২১) দিবাগত গভীর রাতে পৌর এলাকার কাজী মার্কেটের নিকটে ধারালো অস্ত্র নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দুলাল ও তার বড় ভাই বহিষ্কৃত শ্রমিকলীগ নেতা আঙ্গুরসহ ১০-১২ জন দুটি সিএনজি এবং ২টি মোটর সাইকেলযোগে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে ভিপি মিরুর উপর হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে জখম করে ভিপি মিরুকে। ভিপি মিরুকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়। তার চিকিৎসা নিয়ে চরম গাফিলতির অভিযোগ উঠে।মঙ্গলবার (২ মার্চ ২০২১) আনুমানিক ১ টার দিকে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার একাধিক ব্যক্তি জানান, মিরুর সাথে কিলারদের দ্বন্দ্ব শুরু হয় গতবার একটি খেলাকে কেন্দ্র করে। এরই জের ধরে কিছুদিন পরে পৌরসভার রঙ্গের বাজারে কেরাম বোর্ডের দোকানে ভিপি মিরুর সমর্থকরা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত দুলালের উপর হামলা চালায়। লোকজন কোন অঘটন ঘটার আগেই ভিপি সমর্থকদের থামাতে সক্ষম হয়। দুলাল সেখান থেকে অক্ষত অবস্থায় বাড়ি ফিরে তাদের ভাইদের নিয়ে প্রকাশ্যে দা নিয়ে মহড়া চালায়। ঘটনাটি নেতৃবৃন্দ ফয়সালা করে দেন। বাসস্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আঙ্গুর গংদের সাথে মিরুর দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। আওয়ামীলীগের গ্রুপিং এর রোষানল ছিল তার উপর। পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের লোকজন জানায়, বাসস্ট্যান্ড দখলবাজ হিসেবে খ্যাত ছিল আঙ্গুর গংরা। এলাকার কাউকে মানুষ বলে মনে করত না। বিএনপির সাথে লিয়াজো রাজনীতি ছিল তাদের। আর এ হত্যাকান্ডেও বিএনপির অঙ্গসংগঠনের ৩ নেতা ও কর্মী অংশগ্রহন করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি(তদন্ত) আবুল কালাম জানান, মূল আসামীদের সবাইকে ধরার জোর চেষ্টা চলছে।