নোবেল হাসান ঃঃ
মানিকগঞ্জ জেলার যে কৃতি সন্তান সমগ্র বিশ্বময় তাঁর নামটি স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ করাতে সমর্থ হয়েছেন তিনি বিশ্ব বরেণ্য অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য কুমার সেন। তাঁর নিজ বাড়ী মানিকগঞ্জ শহরের নিকটবর্তী মত্ত গ্রামে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে গণভবনে সংবর্ধনা জানান এবং নোবেল বিজয়ী মানিকগঞ্জের ছেলে অমর্ত্য সেনকে সম্মাননা নাগরিকত্ব প্রদান করেন।
শৈশবে দেশ ত্যাগ করে গেলেও অমর্ত্য সেন আজ বাংলাদেশের সম্মানিত নাগরিক। অমর্ত্য সেন শুধু একজন প্রথা মাফিক অর্থনীতিবিদ নন, তিনি অর্থনীতির দার্শনিক ও বিবেক। তাঁর জন্ম ১৯৩৩ সালের ৩ নভেম্বর। তাঁর ডাক নাম বাবলু। অমর্ত্য সেনের ছোট বেলা কেটেছে ঢাকা, শান্তিনিকেতন, বার্মার মান্দালয় এবং কলকাতায়। তিনি বিশ্বের বহু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।
মূলত তাঁর মত এত বেশী ডক্টরেট ডিগ্রি পৃথিবীতে আর কেউ পেয়েছেন কিনা তা রীতিমত গবেষণার বিষয়। ১৯৯৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দিল্লীর নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। ১৯৯৩ সালে জিন মেয়ার গ্লোবাল সিটিজেনশিপ অ্যাওয়ার্ড, ১৯৯৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড অব এশিয়াটিক সোসাইটি, ১৯৯৭ সালে এডিনবার্গ মেডেল, ক্যাটালোনিয়া ইন্টারন্যাশন্যাল প্রাইজ এবং নোবেল প্রাইজ লাভ করেন।
অমর্ত্য সেন তাঁর শিক্ষা জীবনে ক্যামব্রিজ অ্যাডাম স্মিথ প্রাইজ (১৯৫৪), রেনবারি স্কলারশিপ (১৯৫৫), স্টিভেশন প্রাইজ (১৯৫৬), ট্রিনিটি সিনিয়র স্কলারশিপ (১৯৫৪), রিসার্চ স্কলারশিপ (১৯৫৫), প্রাইজ ফেলোশিপ (১৯৫৭) লাভ করেন। সূত্র-মানিকগঞ্জ পরিবার