বাবুনগরী-মামুনুলকে গ্রেপ্তারের দাবি করল জাসদের ইনু

 

সংবাদ জমিন ডেস্ক ঃঃ
সম্প্রতি দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের তান্ডব ও সহিংসতার ঘটনায় উসকানিদাতা হিসেবে সংগঠনের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। রোববার একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের সমাপনী (৩য় কার্যদিবস) দিবসে ‘পয়েন্ট অব অর্ডারে (অনির্ধারিত আলোচনায়)’ দাঁড়িয়ে তিনি এ দাবি জানান। এর আগে সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের মুলতবি বৈঠক শুরু হয়।

২৬ মার্চের ঘটনায় বাবুনগরী ও মামুনুল হক উসকানি দিয়েছে উল্লেখ করে জাদস সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘হুকুম ও উসকানিদাতা হিসেবে মামুনুল হক ও বাবুনগরীকে প্রধান আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলবো রাখ-ঢাক না করে মামুনুল হক, বাবুনগরীদেরর নাম উচ্চারণ করুন। উসকানিদাতাদের কারাগারে নিক্ষেপ করুন।’

২৬ থেকে ২৮ মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা উল্লেখ করে জাসদ সভাপতি বলেন, ‘হেফাজত আর বিএনপি-জামায়াত একই চক্র, তারা একই গোষ্ঠী। অপশক্তিকে বিএনপি সমর্থন করছে। এটা রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ, বিপদস্বরূপ। শক্তভাবে দমন করা ছাড়া কোনো পথ নেই। তিনি আরও বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছিলেন উপলক্ষ্য মাত্র। কার্যত হেফাজত একাত্তরের পাকিস্তান সমর্থক রাজাকারের উত্তরসূরি হিসেবে রাষ্ট্র ও সংবিধানকে অস্বীকার করছে। দেশ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে অস্বীকার করছে।’

জাসদ সভাপতি বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম যেটা করেছে তা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা, বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়ার হুমকি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার ঘটনা সবই নজরে নেওয়া উচিত। বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রের প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর ওপর আক্রমণ হচ্ছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা। রাষ্ট্রকে অস্বীকার করা। তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরও আক্রমণ করেছে।’

পুলিশের ভূমিকার প্রসঙ্গ টেনে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘হামলার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। তাদের তাণ্ডবে পুলিশ প্রশাসনের অসহায়ত্ব দেখা গেছে। এই দুর্বলতা কেন? পুলিশের গাড়িতে আগুন, আসামি ছিনতাই। পুলিশ কি তার নৈতিক বল হারিয়ে ফেলেছে, নাকি তাদের জনবল কমে গেছে? পুলিশ কেন অসহায়?’

শিরোনাম