সংবাদ জমিন ডেস্ক ঃঃ
সুযোগ পেলেই বইমেলায় আসি। কিন্তু মেলায় লেখক-পাঠকের আড্ডা আর বইপ্রেমীদের ভিড় নেই বলে হতাশ হয়েছি। এমন পাঠকশূন্য, প্রাণহীন বইমেলা এর আগে কখনো দেখিনি। খুলনার বইমেলার ৯ম দিনে আসা কবি সাইফুল্লাহ বাবু এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এবারের খুলনার বইমেলা জৌলুসহীন। তবে সন্ধ্যার পরে মেলায় লেখক-পাঠকদের কিছুটা আড্ডা জমে। ৬ই এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় স্টল রয়েছে ৯৫টি।
খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের ব্যবস্থাপনায় এ বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলার দিন গড়ালেও বেচা-বিক্রি তেমন একটা জমেনি বলে জানান স্টল মালিকরা। আগুয়ান ৭১ স্টলের পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এবারের মেলা অসময়ে এবং করোনার প্রকোপের কারণে লোক সমাগম কম হচ্ছে। তারপরও কিছু বইপ্রেমী মানুষ আসছেন মেলায়। কি কি বই চলছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এবিএম মূসার মুজিব ভাই, আফসান চৌধুরীর গ্রামের একাত্তর, লে. জেনারেল জেএফআর জেকবের ঝঁৎৎবহফবৎ ধঃ উধপপধ ও মাহাদুজ্জামানের মামলার সাক্ষী ময়না পাখি। বইমেলার কাগজাত স্টলের পরিচালক তৈয়েবুর তামিম বলেন, করোনার কারণে বইমেলায় আগের মতো বেচা-বিক্রি নেই। লোক সমাগমও কম। আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না।
সন্ধ্যার পরমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ স্টলে পাঠকের ভিড় নেই, বিক্রিও কম। সন্ধ্যার পরপরই মেলার মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে। যা দেখতে কিছু লোক সমাগম হয়েছে। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে কিছু লোক বই কিনতেও এসেছেন। আড্ডা আর ঘোরাঘুরির ফাঁকে ফাঁকে টুকিটাকি কেনাকাটা করছেন অনেকে। আগে শিশু থেকে বৃদ্ধ বিভিন্ন বয়সী মানুষের পদচারণায় মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত থাকলেও এখন বেশির ভাগ দর্শনার্থী তরুণ প্রজন্ম। দলবেঁধে বা বিচ্ছিন্নভাবে তরুণ-তরুণীরা বইমেলায় এসেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মেলার প্রবেশ পথেই পাঠক ও দর্শনার্থীদের মুখে মাস্ক পরার জন্য বলছেন।
খুলনা বিভাগীয় সরকারি গণগ্রন্থাগারের উপ-পরিচালক ড. মো. আহসান উল্যাহ বলেন, করোনা মহামারির কারণে পাঠক-দর্শনার্থীর উপস্থিতি কম। সাতদিনে মাত্র ৫টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। অথচ অন্য বছর এর থেকে বহুগুণ বইয়ের মোড়ক মেলা প্রাঙ্গণে উন্মোচন করা হতো।