কোহিনূর ইসলাম রাব্বিঃ
ঢাকার পল্টনে বিএনপি-জামাতের হামলায় নিহত পুলিশ সদস্যের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায়।তার পিতার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দার মোল্লা।তার পরিবারে বইছে শেোকের মাতম।সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যকে হারিয়ে ঐ পরিবারে এখন শুধুই ক্রন্দনের মাতম।
জানা গেছে,পারভেজের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার ছিল। নদীভাঙনে তাদের বসতভিটা হারিয়ে গেলে তারা পাশের টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে বসবাস শুরু করেন। ফয়েজপুরে বসবাস করলেও এখনও তারা দৌলতপুরের ভোটার।পারভেজ ২০০৯ সালে পুলিশে যোগ দেন। তারা দুই ভাই। চাকরির জন্য পারভেজ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকেন। গ্রামের বাড়িতে তার বৃদ্ধ বাবা-মা ও ভাই থাকেন। ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে বোন এসেছেন শ্বশুরবাড়ি থেকে। পারভেজ ২০১২ সালে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার বোলদার ইউনিয়নে বিয়ে করেন। তার ছয় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
পারভেজ ডিএমপিতে (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ) কর্মরত ছিলেন।শনিবার(২৮ অক্টোবর)আনুমানিক ৩ টার দিকে পল্টনে বিএনপি-জামাতের সাথে সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপি-জামাত সমর্থকরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।এ সময় পুলিশ সদস্যরা একটু দূরে থেকে তাকে বাঁচাতে টিয়ার সেল নিক্ষেপ করছিল।তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল জানান,ছাত্রদলের ছেলেরা ঐ পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করে।টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, আমরা তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোসহ সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।সেই সাথে আমি মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।