সংবাদ জমিন,অনলাইন ডেস্ক ঃঃ
গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগে সালিশের নামে আবারও মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে এক যুবককে। তাকে প্রকাশ্যে ৩০ ঘা বেত মারা হয়েছে, জুতার মালা পরিয়ে ঘুরানো হয়েছে পুরো গ্রাম। পাশাপাশি জরিমানাও করা হয়েছে। একই সঙ্গে জোর করে স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করা হয় কথিত পরকীয়া প্রেমিকা গৃহবধূকে।
রোববার সকালে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মালিহাদ ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে সোমবার আটক করেছে পুলিশ। এরা হলেন, উপজেলার মালিহাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আকরাম হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য নওয়াব আলী, আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিক আলী। তবে ঘটনার পর থেকে বেত্রাঘাতের শিকার যুবক সাইফুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের সেন্টু আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামকে (২৫) একই এলাকার এক গৃহবধূর (২২) সঙ্গে কথিত পরকীয়া করার অভিযোগে গত শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে আটক করে স্থানীয়রা। সে সময় ওই গৃহবধূকেও আটক করা হয়। পরে রাতেই তাদের ওই ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নওয়াব আলীর বাড়িতে আটকে রাখা হয়।
রোববার সকাল ১০টার দিকে ওই ইউপি সদস্যের বাড়ির সামনেই সালিশ বসে। সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইউপি সদস্য সাইফুলকে ৩০ ঘা বেত মারেন। পরে তাকে জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ঘুরানো হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৩ হাজার টাকার জরিমানাও আদায় করা হয়। এছাড়াও একটি স্ট্যাম্প পেপারে তালাকনামা লিখে জোর করে অভিযুক্ত গৃহবধূর সাক্ষর নেওয়া হয়।
পরে এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। মিরপুর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, ‘যারা ওই সালিশ বৈঠক করেছেন তাদেরেকে থানায় এনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।