সংবাদ জমিন, অনলাইন ডেস্ক ঃঃ
অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে এক যুগ আগে এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারায় মুকুল (৩২) আকন্দ। কয়েক বছর পর অপর চোখটিও নষ্ট হয় তার। ফলে একেবারেই অসহায় হয়ে পড়ে মুকুল। এছাড়া সে শারীরিক প্রতিবন্ধী। দৃষ্টি হারানোর পূর্বে বিভিন্ন গ্রামে ভিক্ষাবৃত্তি করে কোনোমতে জীবিকা নির্বাহ করলেও এখন আর সম্ভব হয় না।
এর মধ্যে বাবা-মা’র মৃত্যুর পর অন্ধত্বের কারণে স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে যায়। এক ছোট ভাই আছে সে জীবন-জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমিয়েছে ঢাকা শহরে। এখন সে তার এক চাচার ঘরে আশ্রয় নিয়েছে।
বার্ধক্যের কারণে সেই চাচারও দিনকাল এখন ভালো যাচ্ছে না। চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে দিশাহারা আশ্রয়দাতা চাচা-জেঠা। পরিবারের দাবি তার উন্নত চিকিৎসা করলে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবে। অর্থের অভাবে তাও আর সম্ভব হচ্ছে না আশ্রয়দাতাদের।
মুকুল বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দির ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের বাঁশহাটা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মরহুম ফরিদ আকন্দের ছেলে। এমন পরিস্থিতিতেও প্রতিবন্ধী ভাতা বা সরকারি অনুদানের ভাতা তার ভাগ্যে জোটেনি। মুকুলের আশ্রয়দাতা চাচা আব্দুল খালেক জানান, বাবা-মা মরা এতিম মুকুল তার আশ্রয়ে রয়েছেন। অভাবের সংসারে যা জোটে তাই খায় মুুকুল।
তিনি আরো জানান, তার ছোট ভাই অর্থাৎ মুকুলের ছোট চাচা শিক্ষক কাজী আব্দুর রাজ্জাক তার চিকিৎসা করানোর জন্য অনেক দৌড়াদড়ি করেছেন। সর্বশেষ পাবনার একটি হাসপাতালে তার চোখের উন্নত চিকিৎসার জন্য মনস্থির করলেও অর্থের অভাবে আর পেরে ওঠা সম্ভব হয়নি। ভেলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুবেল উদ্দীন বলেন, মুকুলের বিষয়ে তার কাছে কেউ কখনো আসেনি। বিষয়টি জানার পর তিনি মুকুলের ভাতার কার্ড করে দেয়ার আশ্বাস দেন।