স্টাফ রিপোর্টারঃ
ফরিদপুরের সদরপুরে নিখোঁজের ১৫ দিন পর লাশ উদ্ধার এবং দাফনের ৫ দিন পর হাসি বেগম (২৪) নামের এক নারীকে জীবন্ত উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। হাসি বেগম উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে নানা প্রশ্ন ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার সদরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে হাসি বেগমকে আটক করে সদরপুর থানায় নিয়ে আসেন। এর আগে গত ৭ই সেপ্টেম্বর হাসি বেগম নিখোঁজ হন। গত ২০শে সেপ্টেম্বর তার পরিবারের তত্ত্বাবধানে শৌলডুবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানা গেছে, গত ৮ বছর পূর্বে একই উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বড় বাড়ির মৃত শাহা আলম শেখের ছেলে মোতালেব শেখের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় হাসি বেগমের। তাদের হুসাইন নামে ৭ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গত ৭ই সেপ্টেম্বর হাসি বেগম তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বিদ্যুৎ বিল দেয়ার কথা বলে সদরপুরের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় হাসির বাবা শেখ হাবিবুর রহমান গত ১১ই সেপ্টেম্বর সদরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে গত ২০শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আদমপুর এলাকার নাউটানা এলাকায় কচুরিপানার ভেতর থেকে একটি অর্ধগলিত নারীর লাশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। পরবর্তীতে নিখোঁজ হাসি বেগমের লাশ হিসেবে শনাক্ত করলে ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়ার পর শৌলডুবী মদিনাতুল কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। অপরদিকে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলা অবস্থায় গত ২৩শে সেপ্টেম্বর হাসি বেগম ফোন করে তার বাবা-মাকে জানায় সে জীবিত আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল রশিদ বলেন, হাসি বেগমকে ময়মনসিংহের নান্দাইল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি থানায় আছেন। এখনই এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব নয়।