সংবাদ জমিন,অনলাইন ডেস্কঃ
আনোয়ারা হক মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার বানিয়ারা গ্রামের মেয়ে। তার জন্ম ১৯১৭ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি। তার বাবার নাম ছিল,” আব্দুল মজিদ খান “। বানিয়ারা গ্রামের প্রখ্যাত শিল্পপতি ফজলে হক তার ভাই। তিনি বেগম রোকেয়ার ছাত্রী ছিলেন। এবং ১৯৩৪ সালে বেগম রোকেয়ার গড়া ” সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল’হইতে প্রথম বিভাগে বৃত্তি সহ ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৩৬ সালে বেথুন কলেজ থেকে আই এ পাশ করেন এবং ১৯৩৮ সালে বি এ পাশ করেন। এবং এই বছরই সেকালের ব্রিলিয়ান্ট খেলোয়াড়, লেখক সম্পাদক, রাজনীতিবিদ, হাবিবুল্লাহ বাহারের সংগে বিয়ে হয়। এরপর তিনি সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। পরে এই স্কুলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।
আনোয়ারা বাহার চৌধুরী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মহিলা ব্রাবর্নি কলেজে বাংলা সাহিত্যে শিক্ষকতার পেশায় নিযুক্ত ছিলেন। তিনি আনজুমানে শাখাওয়াতে ইসলামের সেক্রেটারী ছিলেন যেটা বেগম রোকেয়ার হাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি বিদ্যময়ী মহিলা উচ্চ বিদ্যালয়, কামরুন্নেসা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং বাংলা বাজার মহিলা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করেন।১৯৪৭ সনে দেশভাগের সময় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান এ চলে আসেন। যোগ দেন. ময়মনসিংহ বিদ্যামহী স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে। স্কুলের তখন দারুণ দূরবস্হা, সব হিন্দু শিক্ষক চলে যাচ্ছে ভারতে। শক্ত হাতে তিনি স্কুলকে নতুন করে গড়ে তোলেন। এর পর চলে আসেন ঢাকায়, যোগ দেন কামরুননেছা স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে।
১৯৫৫ সালে তিনি মহিলা শিক্ষার উপরে বিশেষ প্রতিনিধির দায়িত্ব পান। তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিরও একজন প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন। যেটা ঢাকাতে তিনি ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি ঢাকায়, স্বামীর নামে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন, যা বর্তমান শান্তিনগর বাজারের অপর পাশে অবস্থিত।তিনি একাধিক বই লিখেছেন। এর মধ্যে সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য কবিতার বই হল আমার চেতনার রঙ।
তার তিন মেয়ে সেলিনা বাহার জামান, নাসরিন সামস, তাজিন চৌধুরী এবং একমাত্র ছেলে ইকবাল বাহার চৌধুরী নিয়ে তার সংসার। বেগম রোকেয়ার ছাত্রী হিসেবে তিনি যথাযোগ্য অবদান রেখেছেন বাংলার শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে।-সংগৃহীত