সংবাদ জমিন, অনলাইন ডেস্ক ঃঃ
বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকাদের একজন মাশরাফি বিন মর্তুজা। দেশসেরা পেসার এবং ওয়ানডেতে দেশের সফলতম অধিনায়কও তিনি।
এখন আবার জাতীয় সংসদের সদস্যও। নড়াইল এক্সপ্রেস এর দায়িত্ব বাড়লে কিংবা অনেক বড় পর্যায়ে গেলে কি হবে?নিজ নির্বাচনী এলাকার সেই বাল্য বন্ধুদের তিনি ভুলে যাননি। নিজ জেলা নড়াইলে গেলেই যেন দুরন্ত কিশোরে পরিণত হন মাশরাফি। এখন সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ আরও বেড়ে গেলেও সময়-সুযোগ পেলেই ছুটে যান শৈশবের বন্ধুদের কাছে। মাশরাফি আর দশজনের চেয়ে এখানেই আলাদা। সবার সঙ্গেই পানির মতো মিশে যেতে পারেন। জাত-পাতকে কখনও ভিন্নভাবে ভাবেননি।
মাশরাফির বন্ধুদের মধ্যে একজন রবি। পেশায় জুতা-স্যান্ডেল সেলাই-কালি করা। এক কথায় চর্মকার বা মুচি। নড়াইল শহরের চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে নাম বললে,একনামে সকলেই তাকে চিনবে। একটি মেহগনী গাছের নিচে বসে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জুতা-স্যান্ডেল সেলাই বা পালিশ করেই যার নিজের এবং পরিবারের অন্যদের পেট চলে।
মাশরাফির বন্ধুদের মধ্যে একজন রবি। পেশায় জুতা-স্যান্ডেল সেলাই করেন। এক কথায় বলতে গেলে মুচি। নড়াইল শহরের চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে নাম বললে, এক নামে সবাই তাকে চেনে। একটি মেহগনি গাছের নিচে বসে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জুতা-স্যান্ডেল সেলাই, পলিশ করেই পরিবারের সদস্যদের মুখে অন্ন তুলে দেন।
সম্প্রতি একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে রবি জুতা সেলাই করছেন। হুডি ও মাস্ক পরে পায়ের ওপর পা তুলে পাশে বসে গল্প করছেন মাশরাফি।মাশরাফির আরেক বন্ধু সুমন। পেশায় ঝাড়ুদার। মাশরাফির সঙ্গে ক্রিকেট খেলা থেকে শুরু করে সব সময় পাশে থাকতেন। মাশরাফি নড়াইলে আসলে বা ঢাকায় থাকলেও, সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।
সুমন বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমরা একসঙ্গে চলাফেরা, খেলা-ধুলা করে বড় হয়েছি। মাশরাফি এখন আমাদের মতো মানুষের সঙ্গে না মিশলেও তো পারে। কিন্তু নড়াইলে আসার আগেই মাশরাফি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপর সে আসে। সূত্র-কান্ট্রি নিউজ