মো. আলতাফ হোসেন ঃঃ
পৃথিবীর বিখ্যাত জাদুকরেরা কেউই কখনো জাদুকে কোনো অলৌকিক বলে দাবি করে না। জাদুতে যেমন কোনো অলৌকিকতা নেই। তেমনি কট্টর গোপনীয়তাও জাদুর জন্য মঙ্গলজনক নয়। উণ্নত বিশে^র মানুষেরা জাদুকে অলৌকিক কিছু বলে মনে করে না। সেখানে ছোট বেলাতেই বাচ্চাদের কিছু জাদুর রহস্য ভেঙ্গে দেয়া হয়। জাদু সেখানে শুধুই মজার একটি খেলা। জাদুতে কোনো অলৌকিকতা নেই, বিস্ময়কর বলে কিছু নেই যা আছে তা সবই বিজ্ঞান ভিত্তিক বাস্তব সত্য, প্রদর্শনের শৈল্পিক ক্ষমতা। যাই হোক আজকের দিনেও একটি ভিণ্ন মাত্রা নিয়ে জাদু টিকে আছে আপন মহিমায়। এখন ম্যাজিক যা ম্যাজিশিয়ান বা জাদুকর নানান বিস্ময়কর কর্মকান্ড প্রত্যক্ষ জনসাধারণকে দেখিয়ে থাকেন। অন্যটাকে বলা হয় ব্লাক ম্যাজিক বা কালজাদু যা অলৌকিক সুবিধা আদায়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে বলে বিশ্বাস করা হয়।
এই গুলোর মধ্যে বশি করা, বান মারা, তন্ত্রমন্ত্র, তাবিজ কবজ, ভূত, জীনপরী, দৈত্য দানব বশ করা আরো কত রকমের যে জাদুর শাখা প্রশাখা আছে আমি তার সবগুলো জানি না। জীবনের অনেক জটিতলতার উত্তর বইয়ে অনায়াসেই পাওয়া যায়, বাইরের কাছে আমি অনেক ঋণী, সত্যি বই মানুষের আরো একটি দেখবার চোখ খুলে দেয়!
জাদু রহস্যের সমাধানও আমি বইয়ের মধ্যেই খুঁজে পেয়েছিলাম। বিস্ময়কর, ভয়ঙ্কর, চোখ ধাঁধালো জাদুর রহস্যগুলো জানতে পারলে মনে হবে এগুলো কতই না তুচ্ছ। কতই না হাস্যকর।।জাদু এক রহস্যই বটে; যদি আপনি আসল ঘটনা না জানেন, জাদুর বিস্ময়কর কর্মকান্ড আমার চোখে ঘোর লেগে ছিলো কোনো সদুত্তর খুঁজে পেতাম না। যেমন কিভাবে মানুষকে উধাও, শুণ্যে একটা আস্ত মানুষ ভাসিয়ে রাখা, কোনো ক্ষতি ছাড়াই পুরো মানুষকে দ্বিখন্ডিত করা, মাথা কাটা হয়, কেটে টুকরো টুকরো করে আবার কোনো ক্ষতি ছাড়াই জোড়া লাগানো হয়, মস্ত এক ছুড়ি দিয়ে পেট এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয়া। পানির ওপর দিয়ে হাঁটা, আটকানো কাচের পানির ট্যাঙ্কির ভেতর থেকে বা থেকে বেড়িয়ে আসা, খালি একটা কৌটা থেকে চকচকে নোট বের করা এমন অজস্র। আরো সব অদ্ভূত কর্মকান্ড জাদু না থাকলে যা স্নায়ুতে সবচেয়ে বেশি কড়া নাড়ে তা হলো জাদু বিদ্যা। নানা শ^াসরুদ্ধকর খেলা দেখিয়ে দুনিয়া মাতাচ্ছেন অসংখ্য বিখ্যাত সব জাদুকর। তাদের নিয়ে মানুষের কৌতুহলের কমনি নেই।
কি করে সম্ভব এমন অবাক কান্ড কারখানা ঘটানো। লোকে বলে চোখে ভেলকি লাগানো। ভেল্কিই বা কিভাবে লাগানো সম্ভব। আর ভেল্কি জিনিসটাই বা কি! কোনোভাবেই কোনো সদুত্তর খুঁজে পাচ্ছিলাম না। বিশ^ কাঁপানো এমন সব জাদুকরের বিখ্যাত হওয়ার কাহিনী নিয়েই আজকের আয়োজন। রাহু চন্ডালের হাড়, জাদুর কাঠি বা তন্ত্র মন্ত্রতে কিছু হয় না। যা হয় তা সবই বিজ্ঞানের জ্ঞান আর কৌশলী মানুষের বুদ্ধিতে, সাধারণত মুর্খ, অশিক্ষিত মানুষের পক্ষে জাদু নিয়ে খুব একটা এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ তিনটি উপায় অবলম্বন করা হয় ১. যন্ত্রের ব্যবহার, ২. রাসায়নিক পদার্থের ক্রিয়া বিক্রিয়া, ৩. হাতের কৌশল, এ ছাড়াও আরো একটি কৌশল আছে তা হলো সম্মোহন ক্ষমতা।
সাধারণ ম্যাজিক বা জাদুর মতো ব্লাকম্যাজিক কালজাদু বা তন্ত্রমন্ত্রর ব্যাপারটা কিন্তু একই রকম নয়। প্রদীপের নিচেই অন্ধকারের মতো পৃথিবীর প্রায় সব অঞ্চলেই কম বেশি কিছু মানুষ এটাকে বিশ^াস করে তাছাড়া নিম্ন বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ দুনিয়ার সব অঞ্চলেই থাকে, আর সেই সাথে থাকে অন্যের ঘাড়ে কাঠাল ভেঙ্গে খাওয়ার মতো কিছু ধূর্ত প্রতারক মানুষ, তারা নানান কৌশল, বুদ্ধি খাটিয়ে এসব বিশ্বাস বাঁচিয়ে রাখেন।
জাদু বিশ্বাস ইতিহাস পৃথিবীতে নতুন নয় সভ্যতার সূচনা লগ্নে মানুষ প্রকৃতিকে বশীভূত করার অদম্য চেষ্টা থেকেই এর জন্ম। সোজা ভাবে বলতে গেলে বিরাট প্রকৃতিকে বশে রাকবার আদিম মানুষের একটা ভূল প্রচেষ্টা। বর্তমান পৃথিবীর ধর্মগুলোই আদিম মানুষের জাদু বিশ^াসেরই একটি পরিবর্তিত আধুনিক রূপ, যা বুদ্ধিমান প্রতারক মানুষের হাতে সংস্কার হতে এমন এক পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যা আর জাদু বিশ^াসের অংশ বলে মনেই হয় না। আদিম মানুষ পাহাড়ের গুহায় নানান রকম অনুগ্রহ লাভের চেষ্টা করতো। আধুনিক মানুষও একই রকম করে কেউ উপবাস থাকে, প্রার্থনা করে প্রকৃতির অনুগ্রহ লাভের চেষ্টা করে; মূল্যে পার্থক্য খুব অল্পই।
আমার মনে হয় অলৌকিক বিশ্বাসসের মূল ভিত্তিটা এখানেই প্রথিত। জাদুর বিস্ময়কর কর্মকান্ড মানুষকে দারুনভাবে প্রভাবিত করে। এখান থেকেই বিশ^সের সূচনা হয়। মানুষ মনে করে মন্ত্র বলে ভূত, জিন, পরী , দৈত্য, দানব বশীভূত করে অসাধ্য সাধন করা যায়। তাদের ধারণা জাদু করে হাতের এক খন্ড কাঠি বা একটা হাড়ের টুকরার মধ্যে বিশাল অলৌকিক শক্তি লুকিয়ে আছে। এই হাড় বা কাঠির টুকরা দিয়ে জাদুকর অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেলতে পারেন।
বাংলাদেশেই বা বলি কেন আমাদের সমগ্র উপমহাদেশেই জাদু বিশ^াস অলৌকিক বিশ^াসের একটা বিরাট কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সত্যি কথা বলতে কি শুধু এই অঞ্চলেই নয় সাধারণত পৃথিবীর অনুণ্নত এলাকার মানুষেরা এমনকি এসব অঞ্চলের সাধারণ শিক্ষিত মানুষেরা পর্যন্ত এই জাদুর রহস্য ভেদ করতে না পেরে এটাকে অলৌকিক হিসেবে বিশ^াস করে থাকে। আদতে এসবে কোনোই ক্রিয়া বিক্রিয়া নেই। ঢোঁড়া সাপের মতোই নির্বিষ। বান মেরে কারো একটা পশমেরও ক্ষতি করা যায় না। সত্যি যদি যেতো প্রভাবশালী নেতা নেত্রীরা কেউ এতোদিন বেঁচে থাকতো না। উচাটন বশিকরণে কারো মন ভোলে না মন্ত্র পড়লে সাপের বিষ নামে না। লাভের মধ্যে লাভ নির্বোধের মনের কিছু শান্তনা জোটে আর জাদুকরের পকেটে কিছু মালপানি পড়ে। দুনিয়ায় কিছু বোকা মানুষ না থাকলে ধুর্ত প্রতারক মানুষ বাঁচবে কেমন করে?
জাদু একটি পারফরমিং আর্ট বা পরিবেশনমূলক শিল্প। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়-উপকরণ ব্যবহার করে অসম্ভব বিভ্রম বা আপাত দৃষ্টিতে অতিপ্রাকৃত ঘটনার জন্ম দেয়ার মাধ্যমে দর্শক শ্রোতাদের আনন্দ দেয়াই জাদু। এগুলোকে জাদুর কৌশল; বিভিন্ন ইফেক্ট বা বিভ্রম হিসেবে আচ্ছায়িত করা যেতে পারে।
যে শিল্পী জাদু প্রদর্শন করেন তাকে জাদুকর বলা হয়। ইংরেজিতে তাদেরকে ম্যাজিশিয়ান বা ইল্যুশনিস্ট বলা হয়। এছাড়া ইংরেজিতে তাদের বেশ কিছু নাম আছে। যেমন: (ইন্দ্রজালিক) (ভেল্কিবাজ) (মায়াজীবি) (মায়াকন্ঠী) (পলায়ন শিল্পী)।
জাদুমন্ত্রের পেশাটি শুধুমাত্র অষ্টাদশ শতকের দিকে শক্তি লাভ করে ছিলো এবং তখন থেকেই জাদু বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় অস্পর্ষ্টতা উপভোগ করেছিলো।
কালো জাদু ঐতিহ্যগতভাবে মন্দ এবং স্বার্থপর উদ্দেশ্যে অলৌকিক ক্ষমতা বা জাদু ব্যবহার উল্লেখ করা হয়। কালো জাদু বা অন্ধকার জাদু হলো এমন এক ধরনের চর্চা যা অন্যের অনিষ্ট সাধনে কিংবা নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্যে করা হয়। এটি অতি মানবিক ও অশুভ শক্তির সংশ্লিষ্টতা। কালো জাদু সাধারণত অতি মানবিক শক্তি দ্বারা করা হয়। তবে অনেকে বলেন, এতে ভূত, প্রেত, আত্মা, প্রেতাত্মা ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ বলা হয় যে কালো জাদু দিয়ে ভূত, প্রেত, প্রেতাত্মা ইত্যাদি বশ করে তাদের দিয়ে নানা কাজ করা যায়। যারা কালো জাদু করে তাদের কালো জাদুকর বলা হয়।
প্রাচীনকাল থেকেই নানা ধরনের জাদু বা ম্যাজিক দেখিয়ে আলোড়ন তুলেছেন জাদুকররা। কিন্তু মানুষকে বোকা বানানোর কৌশল। স্ট্যাজে আমরা সাধারণত যে ধরনের ম্যাজিকগুলো দেখি এগুলো আসলে ম্যাজিক নয়, কৌশল। তবে সত্যি ম্যাজিক বলে কিছু একটা আছে। সেটাকে আমরা ব্লাক ম্যাজিক বলি। যেমন একজন মানুষ শুণ্যে বসে আসে। এটা আসলে কিভাবে সম্ভব হলো এটা আসলে ব্লাক ম্যাজিক। ব্লাক ম্যাজিক সত্য যেটাকে আমরা বলি কুফুরি কালম বা কালো জাদু।
পবিত্র কুরআনে বাকার ১০২ নং আয়াতে আল্লাহ আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন এটা সম্পূর্ণতাই শয়তানের মাধ্যমে হয়। তো যেহেতু শয়তান এমন একটা সৃষ্টি যাদেরকে আমরা দেখতে পাই না সূরা আরাফের ২৭ নাম্বার আয়াতে বলেছেন তারা তোমাদের কে দেখতে পায় কিন্তু তোমরা তাদেরকে দেখতে পাও না। সেইহেতু এটা আমাদের কাছে রহস্যময় বলে কিছু মনে হয়। প্রথমে আপনাকে মনে রাখতে হবে কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় কোন জিনকে দিয়ে কাজ করানো। এজন্য কেউ যদি আপনাকে বলে কেউ জিন পোষে বা জিন পালে বুঝবেন সে একজন মিথ্যাবদী। এর কারণটা কি? পবিত্র কুরআনের সূরা ছোয়াদের ৩৫নং আয়াতে আল্লাহ্ বলেছেন যে সোলায়মান (আ.) আল্লাহ্র কাছে একটি দোয়া করলেন, দোয়াটি ছিলো এই, হে আল্লাহ্ তা’আলা আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং এমন একটি সাম্রাজ্য দান করুন যেটার মালিক শুধু আমি একাই হবো। আল্লাহ্ তা’আলা তার দোয়াকে কবুল করে নিয়েছেন এবং তাকে সে সাম্রাজ্যের অংশ হিসেবে একটা বিশেষ গুণ দান করেছিলে যে তিনি শয়তানকে দিয়ে কাজ করাতে পারতেন জিনকে দিয়ে কাজ করতে পারতেন এজন্য জিনকে দিয়ে কাজ করানো একমাত্র সোলায়মান (আ.) জন্য খাসভাবে নির্ধারিত। এটা অন্য কোনো মানুষের পক্ষে নয়। তবে প্রশ্ন করতে পারেন শয়তানকে দিয়ে ম্যাজিনিয়ান কিভাবে কাজ করায়? আসলে যখন শয়তানকে আপনি খুশি করতে পারবেন তখনই কেবল শয়তান আপনার কাজ করে যাবে। আর শয়তান তখনই খুশি হবে যখন আপনি চরম কুফরি করবেন এবং আল্লাহ্র অবাধ্য হবেন তখনই। আসলে কুফরি অনেকেই করে কিন্তু সবাইকে শয়তান সাহায্য করে না। একমাত্র তাদেরকেই করে যারা বিশেষ কিছু কাজের মাধ্যমে শয়তানকে অনেক খুশি করতে পারে। তার মধ্যে একটা হচ্ছে যে তারা বিশেষ কিছু তাক্কু আছে ম্যাজিশিয়ানদের কাছে কিছু বই পাওয়া যায় সেখানে সে বাক্যগুলো লেখা আছে সে বাক্যগুলোর মাধ্যমে শয়তানকে খুশি করা হয়। শয়তানকে অনেক প্রশংসা করা হয়। একই সাথে আল্লাহ্ তা’আলা ও তার রাসূলকে নিয়ে এবং তার কিতাবকে নিয়ে অপমান অপদস্ত করা হয় যাতে করে সে মানুষ একেবারে নিকৃষ্টতম কুফরিতে লিপ্ত হয়।
আর নিকৃষ্টতম কুফরি করার পর শয়তান তার ওপর সন্তুষ্ট হয় কারণে তার সে কাজগুলো করে দেয়। যেমন কিছু মোমবাতি সাজিয়ে আছে আসলে সে মোমবাতির মাধ্যমে সে আসলে শয়তানকে পূজা করছে। প্রথমে সে করছে কি এখানে তাওরাক করেছে। আসলে বায়তুল্লাহ্ ছাড়া অন্য কিছুকে তাওয়াক করা সবচেয়ে বড় কুফরি। সে প্রথমে বড় একটি কুফরি করেছে এবং শয়তানকে খুশ করেছে। তারপর সে সেখানে বসে ধ্যানের অবান্তর চোখ বন্ধ করে মধ্যে কিছু বাক্য উচ্চারণ করছে এর মাধ্যমে সে আসলে শয়তানকে তখন ডাকতেছিলো এবং শয়তানের কাছে আশ্রয় চাচ্ছিল। তো শয়তানও তার ওপর খুশি হয়েছে তখন তাকে সে বিশেষ অদৃশ্য কাজটি আমরা দেখছি সেটা করে দিয়েছে। আর এ কারণেই ইসলামের বিধান হচ্ছে ম্যাজিশিয়ানকে হত্যা করা। অর্থাৎ শরিয়তের বিধান হলো ম্যাজিশিয়ান এর শাস্তি মৃত্যু দন্ড। কারণ কি সে শুধু কুফরিতেই লিপ্ত নয় সে নিকৃষ্টতম কুফরিতে লিপ্ত। যদিও আপনি হয়তো তাকে দেখতে পাচ্ছেন সে অনেক সুন্দর বেশ বুশ সুণ্নতি লেবাস পড়ে আছে বা মসজিদে যাতায়াত করা কিংবা হয়তো হজ¦ও করে এসেছে এগুলো আসলে মানুষকে ধোকা দেয়ার একটা উপায়। সে ভালো করেই জানে যে আখিরাতে সে কিছুই পারে না। তাহলে আপনি প্রশ্ন করতে পারেন কেন সে এমন কাজটা করছে? সে কাজটা এজন্য করছে, দুনিয়ার স্বার্থের জন্য।
হে বন্ধুরা আমরা সকলেই জাদু দেখতে পছন্দ করি। রাইট। কারণ জাদুকরদের দেখানো কারিগরি সব আমাদের মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। সহজ কথায় অসম্ভব বলে মনে হয়। জাদুকরেরা কখনো নিজেদের ভয়ানক আকারে বড় ব্রেড দিয়ে অর্ধেক করে ফেলে কখনো আবার কোনো ভলেন্টিয়ারদের পেটে ধারালো অস্ত্র ঢুকিয়ে দেয়। তারপরও তারা কোনো রকম ক্ষতি ছাড়াই বেঁচে যায়। যা দেখে সকল দর্শক এমনকি আপনিও চেয়ার থেকে ওঠে হাততালি দেন কিন্তু আপনার মনে কি কখনো মনে হয়েছে কিভাবে এগুলো হয় বা সম্ভব আমি জানি এসেছে, আর আপনারা এটাও জানেন এটা শুধুমাত্র ইলিওশন। কিন্তু জাদুকরেরা আমাদের চোখে ধুলা দেওয়ার জন্য কি কি ট্রিকস করে তা হয়তো আপনার জানা নেই।
ওয়াটার ট্যারিটোরি: পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বা বলা যেতে পারে ভয়ংকর ম্যাজিক হলো ওয়াটার ট্যারিটোরি সেলফ। যেখানে দর্শকদের নিরশ^াস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে যায়। এই ট্রিপটি প্রথম ১৯১২ সালে হেলিয়েন ওডনি নামে ম্যাজিশিয়ান প্রথম পারফর্ম করেন। তারপর থেকে এই ট্রিপটির জনপ্রিয়তা বেড়েই চলে। আসলে এখানে একজন ম্যাজিশিয়ানকে জল ভর্তি কাচের ট্যাঙ্কে হাত পা লক করে ওল্টেভাবে ঝুলিয়ে দেয়া হয় এবং ট্যাঙ্কটিকে লক করে দেয়া হয়। দুই তিন মিনিট পরে দেখা যায় ম্যাজিশিয়ানকে হাত পা উদ্ধার করে লক খুলে জীবিত অবস্থায় উপরে চলে আসে যা দেখে দর্শকেরা হাততালি দিয়ে থাকে।
লেখক: সাবেক জাতীয় ক্রীড়াবিদ,সভাপতি শারীরিক শিক্ষাবিদ সমিতি
চেয়ারম্যান গ্রিন ক্লাব,শিক্ষক,গবেষক,সাংবাদিক,কলামিস্ট