সংবাদ জমিন, স্পোর্টস ডেস্ক ঃঃ
বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে। প্যারিস সেন্ট জার্মেইর সাথে দ্বিতীয় রাউন্ডের ফিরতি লেগে ১-১ গোলে ড্র করা সত্ত্বেও প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ৪-১ গোলে হেরে যাওয়ায় ২০০৭ সালের পর এই প্রথম দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হলো স্পেনিশ জায়ান্টদের। প্রথম লেগে বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার জন্য ফিরতি লেগে বার্সেলোনার দরকার ছিল অন্তত চার গোলের ব্যবধানে জেতা। কিন্তু তারা সেটা পারেনি। যদিও এ ম্যাচে পিএসজির তুলনায় ভাল খেলেছিল বার্সেলোনা। কিন্তু স্বাগতিক দলের গোলরক্ষক কেইলর নাভাস অসাধারণ কিছু সেভ করে কোন অঘটন ঘটতে দেননি। তিনি লিওনেল মেসির পেনাল্টিসহ বেশ কয়েকবার দলকে নিশ্চিত গোল হতে বাচিয়েছেন। দুই লেগ মিলিয়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেই জিতেছে ৫-২ গোলে। পরাজিত হলেও বার্সেলোনা ভাল খেলেছে, যা হয়তো তাদের ঘরোয়া ফুটবলে সাফল্য পেতে বিশেষ ভুমিকা পালন করবে। মনে করা হয় বার্সেলোনা এ ম্যাচে যেভাবে খেলেছে তাতে যদি আরও একবার তারা ঘুরে দাড়ানোর রেকর্ড গড়তো তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকতো না। কিন্তু তা হতে দেননি রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক গোলরক্ষক নাভাস। অবশ্য মেসি যে গোলটি করেছেন সেটির ক্ষেত্রে কিছুই করার ছিল না নাভাসের।
বার্সেলোনা যেহেতু বড় ব্যবধানে জেতার কোন বিকল্প ছিল না তাই কোচ রোনাল্ড কোম্যান আক্রমণ গড়ার মানসিকতা নিয়েই দল গঠন করেন। আক্রমণভাগে মেসির সাথে ছিলেন ওসমান ডেম্বেলে এবং অ্যান্টনি গ্রিজম্যান। ম্যাচের শুরু থেকেই প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে বার্সেলোনা এবং বেশ কয়েকটি সুযোগও সৃষ্টি করে। এর মধ্যে অস্কার মিনগেজার হেড অল্পের জন্য বাইরে যায়। ডেম্বেলে দুটি সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। একবার দলকে বাচান নাভাস। সার্জিনো ডেস্টের শটে নাভাস হাত লাগালে সেটি ক্রসবারে লেগে বাইরে যায়। এর একটু পরই ডেম্বেলের ক্রসে পা লাগাতে ব্যর্থ হন মেসি। পিএসজি আক্রমণে সেভাবে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে না পারলেও ম্যাচের প্রথম গোলটি তারাই করে। খেলার ৩২ মিনিটের মাথায় মাউরো ইকার্দির পায়ে আঘাত করে পেনাল্টি উপহার দেন ক্লেমেন্ত লেংলেট। কাইলিয়ান এমবাপ্পে পেনাল্টি থেকে গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন। এমবাপ্পেকে কড়া পাহারায় রাখতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন মিনগেজা। ফলে বড় কোন ঝুকি না নিয়ে তাকে তুলে জুনিয়র ফিরপোকে মাঠে নামান কোচ। মেসি নিজে সেভাবে কোন সুযোগ না পেলেও তিনি গ্রিজম্যান এবং ডেম্বেলেকে সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছিলেন। কিন্তু তারা সে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হওয়ায় মেসি নিজেই গোলের চেষ্টা করেন এবং সফল হন। পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে বা পায়ের দারুন এক শটে তিনি সমতা ফেরান। একটি গোল খেয়ে পিএসজির রক্ষণভাগ যেন কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাই হয়তো নার্ভাস হয়ে গিয়ে লেভিন কুরজাওয়া ফাউল করে বসেন গ্রিজম্যানকে। পেনাল্টি মারতে যান মেসি এবং সেটি দারুনভাবে বাচিয়ে দেন নাভাস। বাকি সময় বার্সেলোনা চেষ্টা করেছে কিন্তু আর কোন গোল করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। যে কারণে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয় মেসিদের।