নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
কারবালার প্রান্তরে জীবন দিয়ে ইমাম(রা:) গণতন্ত্র ও ইসলামকে রক্ষা করেছেন। বিশ্বের ইসলাম ও গণতন্ত্রকামীদের একটি মুক্তির দিন। তিনি কারবালার প্রান্তরে রক্ত দিয়ে,জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন কিভাবে গণতন্ত্র ও ইসলামকে স্বেচ্ছাচারিতার হাত থেকে রক্ষা করতে হয়। প্রমাণ করেছেন মহরম মাসের ১০ তারিখে বিশ্বের বুকে প্রথম গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর সাথে আপসহীন, সংগ্রাম করে আত্মাহুতি দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে কারবালার মরুপ্রান্তর রক্তে রঞ্জিত করে পৃথিবীর মানুষকে যুগান্তকারী অনুকরণীয় ও অনুস্মরণীয় পথ প্রদর্শন করে গেছেন হজরত ইমাম হোসেন (রা.)। যে কারণে পবিত্র আশুরার এই দিনটি শোকাবহ হলেও এ দিনটি চিরস্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে থাকবে গণতন্ত্রকামী মানুষের মনে।
মহররম মাসের ১০ তারিখ কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসেন (রা:) আত্মদানের কথাই জানি। আসলে এর তাৎপর্য্ কি? রক্ত দিয়ে ,জীবন দিয়ে ভাল কিছু অর্জন করতে হয় তার দৃষ্টান্ত অনুস্মরণ করেছেন। আর এ মাসের ১০ তারিখেই ইসলামের যত ইতিহাস। ত্যাগের মাধ্যমেই যে সর্বোত্তম ভাল কিছু অর্জন করতে হয় তারই উদারণমাত্র। মহান আল্লাহতা’লা যে ৪টি মাসকে সম্মানিত করেছেন তা হল জিলক্কদ, জিলহজ, মহরম ও সফর। সেই চারটি মাসের মধ্যে মাহে মহরম অন্যতম ফজিলতপূর্ণ বরকতময় মাস। যার বর্ণনা কোরআন ও হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে। মাহে মহরমের ১০ তারিখের কিছু ঘটনাবলি যেমন হজরত আদম (আ.) সৃষ্টি, আদম (আ.)-এর বেহেশত প্রবেশ, বাবা আদম ও মা হাওয়া নিষিদ্ধ গাছের ফল ভক্ষণের ভুলের ফলে দুনিয়াতে নিক্ষিপ্ত হওয়া, ৩৫০ বছর পর বাবা আদম ও মা হাওয়ার (আ.) প্রথম মিলন, আরাফাতের ময়দানে আদম-হাওয়ার দোয়া কবুল এবং মুক্তির সুসংবাদ, হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর জন্ম, নমরুদের অগ্নি থেকে মুক্তি, মূসা (আ.) আল্লাহর সাথে কথা বলার সৌভাগ্য অর্জন ও নবুওয়াতি এবং তাওরাত কিতাব লাভ। নীলনদ পার হওয়া, ফেরাউন সদলবলে নীলনদে ডুবে মরা, আইয়ূব (আ.) ১৮ বছর রোগে ভোগার পর মুক্তি লাভ, সোলেমান (আ.)-এর বাদশাহি লাভ, দাউদ (আ.)-এর তওবা কবুল, ইয়াকুব (আ.) ও ইউসুফ (আ.) পিতা-পুত্রের মিলন, নুহ (আ.) প্রবল বন্যায় নৌকাতে ৪০ দিন অবস্থানের পর জুদিপাহাড়ে নৌকা ভিড়ানো, ইশা (আ.) সশরীরে ৪র্থ আকাশে গমণ, ইউনূস (আ.) মাছের পেট থেকে মুক্তি লাভসহ যাবতীয় ঘটনা ১০ মহররম তথা আশুরার এই দিনে অনুষ্ঠিত হয়।