কক্সবাজারে মোবাইল ছিনতাইকে কেন্দ্র করে যুবক খুন

 

কফিল উদ্দিন, কক্সবাজার প্রতিনিধি ঃঃ
কক্সবাজারে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুর মোহাম্মদ মাঝু’র দ্বিতীয় স্ত্রী’র ছেলে শহরের ৮ নং ওয়ার্ডের বৈদ্যঘোনার জাদিরাম পাহাড়ের বাসিন্দা সেজান (২০) নামে এক যুবকের মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।সোমবার (১৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে কক্সবাজার শহরের বইল্ল্যা পাড়া অগ্মমেধা বৌদ্ধ বিহার কম্পাউডে (বৌদ্ধ মন্দির) এ খুনের ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানান,শহরের ৯ নং ওয়ার্ডের ঘোনারপাড়ার বিবেকান্দ স্কুল সংলগ্ন আবুল কালামের ছেলে,চিহ্নিত সন্ত্রাসী,পুলিশ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী আবু তাহের আর সেজান নামে এক যুবকের সাথে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সেজানের তলপেটে সজোরে ছুরিকাঘাত করলে সেজান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।সূত্রে প্রকাশ, জেলার শীর্ষ ইয়াবা কারবারি পারভেজ এর শ্যালক শহরের ১০ নং ওয়ার্ডের পূর্ব মহাজের পাড়ার চিহ্নিত মাদককারবারি জাফর মেস্ত্রীর ছেলে সাইফুল ইসলাম অভিকের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল সেট কেড়ে নেয় সন্ত্রাসী আবু তাহের।

আবু তাহেরের কাছ থেকে সেই মোবাইল সেট উদ্ধার করার জন্য ও-ই এলাকার আরেক চিহ্নিত ছিনতাইকারী সাহাব উদ্দিনের ছেলে (আবচার ড্রাইভারের পালক পুত্র) শহিদুল্লাহকে সাথে নিয়ে সাইফুল ইসলাম অভিক সেজানকে খবর দেয়।সেজান এসে আবু তাহেরকে মোবাইল সেট ফেরত দেওয়ায় জন্য চাপ দিলে উভয়ের বাক-বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে আবু তাহের সেজানকে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়।

নিহত সেজানের মা জানিয়েছেন, তিনি তার পুত্র সেজানকে নিয়ে শহরের জাদিরাম পাহাড় এলাকায় বসবাস করেন। সোমবার সকালে সেজানকে কয়েকজন কিশোর বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এর আগের রাতে খুনীদের সাথে তার ছেলে সেজানের মোবাইলে তর্ক হয়েছিল বলে সেজানের মা জানান। এরপর তিনি বেলা ১২ টার দিকে তার ছেলে সেজানকে খুন করার খবর পায়।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মুনীর উল গিয়াস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, ঘটনার ক্লু উদঘাটন, খুনীদের চিহ্নিত করে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। সেজানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। সেজানের লাশ উদ্ধারকারী খোরশেদ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, তাহের, রাজু, অভিক ও শহিদুলকে আটক করলে খুনের আসল ঘটনা জানা যাবে।

শিরোনাম