মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দায়ের ও তা সংবাদ মাধমে প্রকাশিত হওয়ার পর এবার শিবালয় উপজেলার এসিল্যান্ড অফিসের ক্রেডিট টেকিং কামসায়রাত সহকারী মোঃ আনোয়ার হোসেন ওরফে সুমনকে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সুমনের বিরুদ্ধে রাস্তার জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ, জনগণকে কথায় কথায় হুমকি, পুলিশী হয়রানীর অভিযোগে মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বরাবর আরও একটি অভিযোগ দাখিলের খবর পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের লক্ষ্যে ঢাকা-আরিচা মহা সড়কের জাহাঙ্গীর টাওয়ার হতে উচুটিয়া খালপাড় পর্যন্ত রাস্তা বিষয়ে পাকা-আধাপাকা স্থাপনা অপসারণের জন্য জমির মালিক, কাউন্সিলরবৃন্দ ও স্থানীয় সর্বমহলের উপস্থিতিতে পৌরসভার সার্ভেয়ার দ্বারা ভুমি পরিমাপ করে ৮ ফুট জায়গা প্রস্থ করে খুঁটি স্থাপন কওে সীমানা নির্ধারণ করেন।পৌর কর্তৃপক্ষ সার্ভেয়ার দ্বারা জমি পরিমাপ করে সুমনদের অবৈধ দেয়াল সরিয়ে নেয়ার জন্য বাড়ির উত্তর দক্ষিণ অংশে লাল রং লাগিয়ে দিলে সুমন ও তার মা রং ঘষে তুলে দেয়।
“ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ” সড়ক সম্প্রসারণের জন্য ভোগান্তি এলাকার জনগণ জানান,সুমনদের বাড়ির দক্ষিণ অংশের জমির মালিক সহ প্রায় সবাই পৌরসভার নির্ধারিত মাপে ওয়াল নির্মাণ করেন। তারা আরও জানান, সুমনদের দেশের বাড়ি পূর্বে রাজবাড়ি জেলার দৌলতদিয়া বা পাবনা জেলার নগরবাড়ি উপজেলায় হতে পারে। এখানে তারা প্রথমে ৬ শতাংশ জমি কিনে। পরে তারা পূর্ব পাশ থেকে ৩ শতাংশ জমি বিক্রি করে দেয়। এরপর আস্তে আস্তে সুমন গং তাদের বাড়ির পশ্চিম দিকের রাস্তার জমি দখল করতে থাকে এবং দখল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে দ্রুত বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করেন। রাস্তার জমি দখলের বিষয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতায় স্থানীয়রা নিরুপায় হয়ে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট ইতিপূর্বে সুমনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নে জনগণ এক সভায় মিলিত হলে সুমন হঠাৎ সকলের সামনে হুশিয়ারি দিয়ে বলে, আমি রাস্তার জন্য কোন জমি দেব না। আমার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দিয়ে কোন লাভ হবে না। তার এমন অ-স্বস্তি আচরণে জয়রা, ভুলজয়রা, নারাঙ্গাই সহ সর্বমহলের জনগণ জেলা প্রশাসকের নিকট যে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জোর আবেদন জানিয়েছেন তারা।