ইসরাঈল সম্প্রদায়ের সৎকর্মশীল নবী হযরত ইলিয়াস (আ.)

মো.আলতাফ হোসেন ঃঃ
আল্লাহ তা’য়ালা যুগে যুগে সত্য দ্বীনসহ অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। যাদের প্রেরণের মূল লক্ষ্যই ছিলো এ জমিনে তাঁর ইবাদাত তথা দাসত্ব মানুষ শিখানো।মানুষকে সকল প্রকার অন্যায় জুলুম অত্যাচার থেকে ফিরিয়ে সঠিক জীবন দর্শন দেখানো। তাই প্রত্যেক নবী-রাসূলই আল্লাহ তা’য়ালার এ মিশন বাস্তবায়নে নিজেদের এবং উম্মতের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ কামণায় দোয়া করেছেন। আল্লাহ তা’য়ালা পৃথিবীর বুকে অসংখ্য নবী-রাসূল পাঠিয়েছে। নবী-রাসূলরা আল্লাহর মনোনীত ও প্রেরিত পুরুষ।পৃথিবীর বুকে আল্লাহর একত্ববাদের প্রতিষ্ঠা ও তাঁর দ্বিন প্রচারের জন্য আল্লাহ তাঁদের নির্বাচিত করেছেন।পৃথিবীতে আল্লাহ তা’য়ালা অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন।তাঁদের ভেতর ২৫ জনের নাম পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে।এর মধ্যে ১৮ জনের নাম সুরা আনআমের ৮৩ থেকে ৮৬ নম্বর আয়াতে একত্রে বর্ণিত হয়েছে এবং বাকিদের নাম অন্যত্র এসেছে।মুসলিমরা নাম জানা ও অজানা সব নবী ও রাসুলকে সত্য বলে বিশ্বাস করে। প্রথম মানুষ আদম (আ.)-এর মাধ্যমে পৃথিবীতে নবী আগমনের ধারাক্রম শুরু হয় এবং মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে তা শেষ হয়।হযরত ইসহাক (আ.)-এর বংশধারা থেকে আল্লাহ একাধিক নবী প্রেরণ করেন। তাঁদের ধারাক্রম এমন ইয়াকুব (আ.), ইউসুফ (আ.), আইয়ুব (আ.), জুলকিফল (আ.), ইউনুস (আ.), মুসা (আ.), হারুন (আ.), খিজির (আ.), ইউশা ইবনে নুন (আ.), ইলিয়াস (আ.), দাউদ (আ.), সোলাইমান (আ.), যাকারিয়া (আ.), ইয়াহইয়া (আ.) ও ঈসা (আ.)। এসব নবীর বেশির ভাগ বনি ইসরাঈলের প্রতি প্রেরিত হয়। কোরানে বর্ণিত ২৫ জন নবী-রাসূলের মধ্যে এমনই একজন নবী হযরত ইলিয়াস (আ.)।

হযরত ইলিয়াস (আ.) ইসলামের একজন সৎকর্মশীল নবী। যিনি বনী ইসরাইল সম্প্রদায়ে আগমন করেছিলেন। তিনি হযরত মূসা (আ.) এর ভাই হারুনের বংশধর ছিলেন। তিনি বর্তমান জর্ডান নদীর উত্তর অঞ্চলের জিলীআদ নামক স্থানের “আবেল মাহুলা” নামক জায়গার অধিবাসী ছিলেন। খৃষ্ঠান এবং ইহুদিদের কাছে তিনি ইলিশা নামে পরিচিত।

হযরত ইলিয়াস (আ.) খৃষ্টপূর্ব ৮৭৫ থকে ৮৫০ অব্দের মাঝামাঝি সময়ে জন্মগ্রহণ করেন।নবী হযরত ইলিয়াস (আ.) ছিলেন হযরত হারুণ (আ.) এর বংশধর। আল-কোরআনে ইলিয়াস (আ.)কে ইঞ্জিল কিতাবে ইলইয়া নামে বর্ণনা করা হয়েছে। উনার পিতার নাম ইয়াসিন এবং দাদা ছিলেন ফাহযায। ফাহযায এর পিতা ছিলেন ইয়াযার,যিনি হযরত হারূণ (আ.) এর পুত্র। অন্য বর্ণনায় হারূণ (আ.) এর পুত্র ইমাম গারগার এর পুত্র মাহসাস এর নাতি হযরত ইলিয়াস (আ.)।ঐতিহাসিকদের মতে,তিনি হিযকিলের পরে আল ইয়াসার পূর্বে নবী হিসাবে প্রেরিত হন। কোরআনে তাঁকে ‘ইলয়াস’নামে অভিহিত করা হয়।যেমন আল্লাহ বলেন,অর্থ-যাকারিয়া,ইয়াহইয়া,ঈসা এবং ইলয়াসকেও এরা সবাই ছিলো সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত। বাইবেলে তার নাম এলিয়,ইলিয়াহ ও এলিজ বলা হয়েছে। আল-কোরআনে ইলয়াস ও ইলইয়াসিন নাম রয়েছে। এরশাদ হচ্ছে- অর্থ : নিশ্চয়ই ইলিয়াস ছিলো রাসূল। যখন সে তার সম্প্রদায়কে বললো তোমরা কি ভয় কর না? তোমরা কি বা’আল দেবতার এবাদত করবে এবং সর্বোত্তম স্রষ্টাকে পরিত্যাগ করবে।যিনি আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের পালনকর্তা? অতঃপর তারা তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। অতএব তারা অবশ্যই গ্রেফতার হয়ে আসবে কিন্তু আল্লাহ তা’য়ালার খাঁটি বান্দাগণ নয়। আমি তার জন্যে পরবর্তীদের মধ্যে এ বিষয়ে রেখে দিয়েছি যে,ইলিয়াাসিনদের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক! এভাবেই আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।সে ছিলো আমার বিশ্বাসী বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।(ইলিয়াস) এবং (আল-ইয়াসিন) কি একই ব্যক্তি,না ভিন্ন ভিন্ন।এ নিয়ে আব্দুর রশিদ নু’মানী বলেন,(আল-ইয়াসিন) শব্দটির ভিন্ন উচ্চারণ হচ্ছে (ইলিয়াস)। যেমন ইসমাইলকে ইসমাইন, ইসরাইলকে ইসরাইন পড়া হয়। আরবরা অনেক সময় সম্প্রদায়ের নেতার নামে গোটা সম্প্রদায়কে বুঝিয়ে থাকে। এ হিসাবে (আল-ইয়াসিন) দ্বারা ইলিয়াস নবীকে বুঝানো হয়েছে।

হযরত ইলিয়াস (আ.) ফিলিস্তীনের পার্শ্ববর্তী জর্ডানের আল‘আদ নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। আল্লাহ পাক তাঁকে নবী হিসাবে মনোনীত করেন এবং ফিলিস্তীন অঞ্চলে তাওহীদের প্রচার ও প্রসারের নির্দেশ দান করেন। ফিলিস্তীনের ধর্মীয় ও সামাজিক অবস্থা :এই সময় ফিলিস্তীনের বায়তুল মুক্বাদ্দাস ও নাবলুস অঞ্চলে বনু ইস্রাঈলদের দুই গ্রুপের দু’টি রাজধানী ছিলো।তারা আপোষে পরস্পরে মারমুখী ছিলো। ফেলে আসা নবুয়তী সমাজ ব্যবস্থা থেকে তারা অনেক দূরে একটি পতিত সমাজে পরিণত হয়েছিলো।
হযরত সোলায়মান (আ.) এর সময় বনী ইসরাইলদের প্রভাব-প্রতিপত্তি চরম পর্যায়ে উনীত হয় কিন্তু তাঁর ইন্তেকালের পর পরই বনী ইসরাঈলদের রাষ্ট্র দু’ভাগ হয়ে যায়। দক্ষিণ ফিলিস্তিনে একটি ছোট রাষ্ট্র কায়েম হয়। এর নাম ইয়াহুদা বা ইয়াহুদিয়া। এর রাজধানী হয় বায়তুল মাকদাস। অন্যদিকে উত্তর ফিলিস্তিনে ইস্রাইল নামে একটি রাষ্ট্র কায়েম হয়। এর রাজধাী ছিলো সামেরিয়া,বর্তমানে নাবলুসে অবস্থিত। উত্তর এলাকার ইসরাইল নামক রাষ্ট্রে প্রথম থেকেই শিরক, মূর্তি পূজা, জুলুম-অত্যাচার ও লজ্জাহীনতা বেড়ে যেতে থাকে। এ অবস্থায় এ রাষ্ট্রের শাসক ‘আখীআব’ লেবাননের মুশরিক রাজ কন্যা ইযবেলকে বিয়ে করে। তার প্রভাবে পড়ে‘আখীআব’ ও মুশরিক হয়ে যায়। স্ত্রী ইযবেলের কথামত সে রাজধানী সামেরিয়ায় ‘বাআল’ দেবতার মন্দির ও বলির বেদী তৈরি করে এবং এক আল্লাহকে বাদ দিয়ে ‘বাআল’ দেবতার পূজা প্রচলনের চেষ্টা চালায়। তিনি হারুন (আ.) এর বংশধর।তাঁর পিতৃপরস্পরা হলো, ইলিয়াস ইবন য়াসীন ইবন ফিলহাস ইবন আয়যার ইবন ইমরান ইবন হারুন। আথবা ইলিয়াস ইবন আযির ইবন আয়যার ইবন হারুন। আল্লামা তাবারির মতে তিনি হলেন,আল-ইয়াসা এর চাচাতো ভাই। আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ বলেন,ইদ্রিস নবী হলেন ইলিয়াস নবী। তিনি মনে করেন একটি তার আসল নাম, অন্যটি তার উপাধি কিন্তু তার এ মত ঠিক না। কেননা কোরআনে উভয়ের নাম আলাদা আলাদা করে এসেছে। ইলিয়াস নবী নুহ নবী ও ইব্রাহিম নবীর বংশ থেকে এসেছিলেন। অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে, ইদরিস নবী নুহ নবীর আগে আগমন করেছিলেন বলে মত দিয়েছেন। অধিকাংশ ঐতিহাসিক ও মুফাসসিরের মতে ইলিয়াস নবী সিরিয়ার অধিবাসদের হেদায়াতের জন্য প্রেরিত হয়েছিলেন। তিনি নবুওত লাভের পর স্বীয় সম্প্রদায়কে বাআল মূর্তির পূজা করা থেকে নিষেধ করেন।তাঁর সময় ফিলিস্তিনে বনী ইসরাইলের শাসক ছিলো বাইবেলের বর্ণনা অনুসারে ‘আখিয়ার’এবং আরবি ইতিহাসে ‘আজিব’ বা ‘উজব’ বা ‘আখিআব’। তার স্ত্রী ইযাবিল ছিলো দুষ্কর্মপরায়ণা। ঠিক এ সময় হযরত ইলিয়াস (আ.) এর আবির্ভাব ঘটে। তিনি এসব পাপ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। লোকজনকে তিনি এ মূর্তি পূজার অপকারিতা বুঝাতে থাকেন। তিনি বাদশাহ ‘আখীআবকে তার অন্যায় কাজকর্মের জন্য সাবধান করে দেন। তিনি বাদশাহকে বললেন: তুমি এসব অন্যায় বন্ধ না করলে তোমার রাষ্ট্রে আর এক বিন্দু বৃষ্টিও হবে না। আল্লাহর নবীর কথাই সত্য প্রমাণিত হলো। সেখানে সাড়ে তিন বছর পর্যন্ত বৃষ্টি হলো না। এমন অবস্থায় বাদশাহ ইলিয়াস (আ.)-কে খুঁজে আনলেন এবং বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে দো’আ করতে বললেন। এ সময় হযরত ইলিয়াস (আ.) ‘বা’আল’ দেবতা এবং মহান আল্লাহর পার্থক্য মানুষের সামনে প্রকাশ করতে চাইলেন। তিনি বললেন: একটি প্রকাশ্য সভায় ‘বা’আল’ দেবতার পূজারীরা তাদের দেবতার নামে কোরবানি করবে এবং আমি আল্লাহর নামে কোরবানি পেশ করবো। গায়েবী আগুন এসে কোরবানিকে পুড়িয়ে ফেলবে সেই সত্য পথের অনুসারী।‘আখীআব’ প্রস্তাবটি মেনে নিল। সুতরাং কোহে করমশ বা কারমেল পর্বতে ‘বা’আল’ দেবতার চারশত বা আটশত পূজারী এবং হযরত ইলিয়াস (আ.) হাজার হাজার লোকের সামনে কোরবানী পেশ করলেন। গায়েবী আগুন এসে হযরত ইলিয়াসের (আ) কোরবানি পুড়িয়ে ফেললো, সবাই তাঁর প্রভুর সত্যতা মেনে নিলো কিন্তু ‘বা’আল’ দেবতার পূজারিরা শিরকে রয়ে গেলো। হযরত ইলিয়াস (আ.)পূজারীদেরক কায়শুন উপত্যাকায় হত্যা করলেন।এরপর তিনি দোয়া করলেন, প্রচুর বৃষ্টি হলো। এতে প্রমাণ হলো একমাত্র আল্লাহই সত্যিকার ক্ষমতার অধিকারী। তিনিই সব ইবাদত পাওয়ার যোগ্য। আর হযরত ইলিয়াস (আ.) তাঁরই প্রেরিত নবী।

হযরত ইলিয়াস (আ.) সারা জীবন অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তিনি মানুষের কল্যাণ কামনা করেছেন। আর একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করেননি।একদিন হযরত ইলিয়াস নবী চল্লিশ দিন চল্লিশ রাত ভ্রমণ করার পর এক পাহারে আত্মগোপন করেন। তিনি নবী পাহাড়ে আত্মগোপনে থাকার পর বের হয়ে এক নারীর গৃহে আশ্রয় নিলেন। এই নারী ছিলেন ইউনুস নবীর মা। সেখানে তিনি ছয় মাস আত্মগোপন করে থাকেন। হযরত ইউনুস নবীর মাতা অর্থ-সম্পদ দিয়েও তাঁকে সাহায্য করে। এতেও হযরত ইলিয়াস নবী আত্মগোপনে থাকতে পারছিলেন না। তিনি আবার পাহাড়ে চলে যান।এদিকে শিশু ইউনুস নবী ইন্তেকাল হয়,তখন তার মা অত্যন্ত ব্যাকুল হয়ে ইলিয়াস নবীকে খুঁজতে থাকে। অবশেষে তাঁকে পেয়ে বসে। তখন তাঁকে বলে, আপনি চলে আসার পর,ইউনুস ইন্তেকাল করেছে। আমার উপর এক মহাবিপদ পড়েছে। আপনি দো‘আ করুন যাতে আমার ছেলে জীবিত হয়। আমি তাকে দাফন করি নাই,শুধু কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছি।হযরত ইলিয়াস নবী বললেন, আল্লাহ পাক আমাকে এ ব্যাপারে ক্ষমতা দেননি।তখন স্ত্রীলোকটি বেশি করে ক্রন্দন করতে লাগলেন। হযরত ইলিয়াস নবী স্ত্রীলোকটির প্রতি সহানুভূতিশীল হলেন এবং তার বাড়িতে গেলেন। হযরত ইলিয়াস নবী আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন,আল্লাহ শিশু ইউনুসকে জীবিত করে দিলেন।একবার তিনি এক স্ত্রীলোকের বাড়িতে আশ্রয় নিলেন। তার পুত্রের নাম ছিলো আল-য়াসা। আল-য়াসা ছিলো খুব অসুস্থ। তাঁর দো‘আয় সে সুস্থ্য হলো। সেই স্ত্রী লোকটি তাঁর উপর ঈমান আনলো এবং তাঁর সাথে থাকতে লাগল। সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে ইলিয়াস নবীর ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে।

তাফসিরে মাযহারিতে আছে,ইলিয়াসকে অগ্নি অশ্বে আরোহন করে আকাশে তুলে নেয়া হয় এবং তিনি ঈসার মত জীবিত আছেন। ইবন আসাকির বলেন,চারজন নবী জীবিত আছেন। দু’জন দুনিয়াতে এবং দু’জন আসমানে। দুনিয়ার দু’জন হচ্ছে ১.ইলিয়াস, যিনি স্থলভাগের দায়িত্বে আছেন।২.খিজির যিনি জলভাগের দায়িত্বে আছেন। এরা দু’জন প্রতি হজ্ব এর সময় একত্র হন। আর আসমানের দু’জন হচ্ছে, ১.ইদরিস ও ২.ঈসা।পবিত্র কুরআনে মাত্র দু’জায়গায় হযরত ইলিয়াস (আ.)-এর আলোচনা দেখা যায়। সূরা আন‘আম ৮৫ আয়াতে ও সূরা ছাফফাত ১২৩-১৩২ আয়াতে। সূরা আন‘আমে ৮৩-৮৫ আয়াতে ১৮ জন নবীর তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। সেখানে কোন আলোচনা স্থান পায়নি। তবে সূরা ছাফফাতে সংক্ষেপে হ’লেও তাঁর দাওয়াতের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। ঐতিহাসিক বর্ণনায় এ বিষয়ে প্রায় সবাই একমত যে, তিনি হযরত হিয্ক্বীল (আ.)-এর পর এবং হযরত আল-ইয়াসা‘(আ.)-এর পূর্বে দামেষ্কের পশ্চিমে বা‘লা বাক্কা অঞ্চলের বনু ইস্রাঈলগণের প্রতি প্রেরিত হয়েছিলেন। এই সময় হযরত সুলায়মান (আ.)-এর উত্তরসুরীদের অপকর্মের দরুণ বনু ইস্রাঈলের সাম্রাজ্য দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিলো। এক ভাগকে ‘ইয়াহূদিয়াহ’ বলা হতো এবং তাদের রাজধানী ছিলো বায়তুল মুক্বাদ্দাসে। অপর ভাগের নাম ছিল ‘ইসরাঈল’ এবং তাদের রাজধানী ছিলো তৎকালীন সামেরাহ এবং বর্তমান নাবলুসে।

হযরত ইলিয়াস (আ.) ছিলেন বনী ইসরাইলদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নবী। ছিলেন বড় ইবাদাত গুজার,আল্লাহভীরু এবং বিশাল ব্যক্তিত্বের ধিকারী। কোরআন মাজীদে তাঁর নাম তিন বার উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ হয়েছে সূরা আনয়ামের ৮৫ আয়াতে এবং সূরা সাফফাতের ১২৩ ও ১৩০ আয়াতে। তিনি আল্লাহর কাছে বড় মর্যাদাবান ও সম্মানিত ছিলেন। কোরআন মাজীদে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর উপর সালাম বর্ষিত হয়েছে। বাইবেলে তাঁর নাম বলা হয়েছে ‘ইলিয়া’।হযরত ইলিয়াসের কাল ও এলাকা আধুনিক কালের গবেষকগণ খ্রিষ্টপূর্ব ৮৭৫ থেকে ৮৫০ এর মাঝামাঝি ময়টাকে তাঁর নবুয়ত কাল বলে চিহ্নিত করেছেন।
হযরত ইলিয়াস ছিলেন জিল’আদের অধিবাসী। সেকালে জিল’আদ বলা হত জর্ডানের উত্তরাঞ্চলকে। এলাকাটি ইয়ারমুক নদীর দক্ষিনে অবস্থিত। আপনি কি কখনো সে এলাকায় গিয়েছেন? কোরআনে তাঁর মর্যাদার বর্ণনা কোরআনে হযরত ইলিয়াস (আ.)কে হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর বংশধর শ্রেষ্ঠ নবীদের একজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সূরা আল আনয়ামে বলা হয়েছে“ইব্রাহিমকে আনি ইসহাক ও ইয়াকুবের মতো সন্তান দিয়েছি। তাঁদের সবাইকে সত্য পথ প্রদর্শন করেছি, যা প্রদর্শন করেছিলাম ইতোপূর্বে নূহকে।তাছাড়া তাঁর বংশধরদের মধ্যে দাইদ,সুলাইমান,আইয়ুব, ইউসুফ,মুসা এবং হারুনকে সঠিক পথ দেখিয়েছি। উপকারী লোকদের আমি এভাবেই প্রতিদান দিয়ে থাকি।তাঁর সন্তানদের মধ্য থেকে যাকারিয়া,ইয়াহিয়া,ঈসা এবং ইলিয়াসকেও সঠিক প্রদর্শন করেছি।এরা প্রত্যেকেই ছিলো যোগ্য সংস্কারক। তাঁরই বংশ থেকে ইসমাঈল,আলইয়াসা, ইউনুস এবং লুতকেও সঠিক পথ দেখিয়েছি। এদের প্রত্যেককে আমি বিশ্ববাসীর উপর মর্যাদা দিয়েছি।”(সূরা: আল আনয়াম, ৮৪-৮৬)

হযরত ইলিয়াস (আ.) ছিলেন বনী ইসরাইলদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নবী।ছিলেন বড় ইবাদাত গুজার,আল্লাহভীরু এবং বিশালব্যক্তিত্বের অধিকারী। কোরআন মাজীদে তাঁর নামতিন বার উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ হয়েছে সূরা আনয়ামের ৮৫ আয়াতে এবং সূরা সাফফাতের ১২৩ ও ১৩০ আয়াতে। তিনি আল্লাহর কাছে বড় মর্যাদাবান ও সম্মানিত ছিলেন। কোরআন মাজীদে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর উপর সালাম বর্ষিত হয়েছে। বাইবেলে তাঁর নাম বলা হয়েছে ‘ইলিয়া’। হযরত ইলিয়াসের কাল ও এলাকা আধুনিক কালের গবেষকগন খৃষ্টপূর্ব ৮৭৫ থেকে ৮৫০ এর মাঝামাঝি সময়টাকে তাঁর নবুয়ত কাল বলে চিহ্নিত করেছেন।
হযরত ইলিয়াস ছিলেন জিল’আদের অধিবাসী। সেকালে জিল’আদ বলা হত জর্ডানের উত্তরাঞ্চলকে এলাকাটি ইয়ারমুক নদীর দক্ষিনে অবস্থিত। কোরআনে তাঁর মর্যাদার বর্ণনা কোরআনে হযরত ইলিয়াস (আ.) কে হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর বংশধর শ্রেষ্ঠ নবীদের একজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।সূরা আল আনয়ামে বলা হয়েছে“ইব্রাহিম (আ.) কে আনি ইসহাক ও ইয়াকুবের মতো সন্তান দিয়েছি।তাঁদের সবাইকে সত্য পথ প্রদর্শন করেছি, যা প্রদর্শন করেছিলাম ইতোপূর্বে নূহকে। তাছাড়া তাঁর বংশধরদের মধ্যে দাইদ, সুলাইমান,আইয়ুুব, ইউসুফ, মুসা এবং হারুনকে সঠিক পথ দেখিয়েছি। উপকারী লোকদের আমি এভাবেই প্রতিদান দিয়ে থাকি।তাঁর সন্তানদের মধ্য থেকে যাকারিয়া, ইয়াহিয়া,ঈসা এবং ইলিয়াসকেও সঠিক প্রদর্শন করেছি।এরা প্রত্যেকেই ছিলো যোগ্য সংস্কারক।তাঁরই বংশ থেকে ইসমাঈল,আলইয়াসা,ইউনুস এবং লুতকেও সঠিক পথ দেখিয়েছি।এদের প্রত্যেককে আমি বিশ্ববাসীর ওপর মর্যাদা দিয়েছি।” (সূরা: আল আনয়াম,৮৪-৮৬)

সূরা আস-সাফফাতে তাঁর সংস্কারমূলক আন্দোলনের একটি সংক্ষিপ্ত অথচ চমৎকার বর্ণনা দেয়া হয়েছে “আর ইলিয়াসও ছিলো একজন রাসুল। স্মরণ করো,সে তাঁর জাতিকে যখন বলেছিলো,তোমরা কি সতর্ক হবেনা? তোমরা কি তোমাদের এবং তোমাদের পূর্ব পুরুষদের প্রভু মহামহিম স্রষ্টা আল্লাহকে পরিত্যাগ করে বা’আলের পূজা অর্চনা করবে? কিন্তু তারা তাঁকে অস্বীকার করলো। কাজেই এখন অবশ্য তাঁদের হাজির করা হবে শাস্তি ভোগের জন্যে, তবে আল্লাহর নিষ্ঠাবান দাসদের নয়। আর পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আমি ইলিয়াসের সুখ্যাতি অব্যাহত রেখেছি। ইলিয়াসের প্রতি সালাম।উপকারী লোকদের আমি এভাবেই প্রতিফল দিয়ে থাকি।সে ছিলো আমার একনিষ্ঠ মুমিন দাসদেরই একজন।”(সূরা ৩৭, আস-সাফফাত,আয়াত ১২৩-১৩২) বা’আল কে? আল্লাহর উপরোক্ত বানী থেকে আমরা জানতে পারলাম হযরত ইলিয়াসের জাতি বা’আলের পূজা অর্চনা করতো।বা’আলের কাছেই প্রার্থনা করতো এবং তাকেই খোদা বলে ডাকতো। তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে বা’আলকে মাবুদ বানিয়ে নিয়েছিলো। আপনারা কি জানেন এই বা’আল কে? ‘বা’আল’ এর আভিধানিক অর্থ স্বামী বা পতি। প্রাচীনকালে সিরিয়া ও জর্ডান অঞ্চলে পূজনীয়,উপাস্য,প্রভু এবং দেবতা অর্থে এ শব্দটি ব্যবহার করা হতো। সেকালে লেবাননের ফিনিকি সম্প্রদায়ের লোকেরা তাঁদের সবচে’ বড় দেবতাটিকে বলতো বা’আল। এ ছিলো পুরুষ দেবতা। এ মূর্তিটির স্ত্রীর নাম ছিলো আশারাত। এ ছিলো সবচে’ বড় দেবী। আবার কোনো কোনো সম্প্রদায় সূর্য পূজা করতো। তারা সূর্যকেই বা’আল বলতো। আর চন্দ্র অথবা শুক্রগ্রহ ছিলো এদের আশারাত। ইতিহাস থেকে জানা যায় সেকালে বেবিলন থেকে নিয়ে মিশর পর্যন্ত গোটা মধ্যপ্রাচ্যে বা’আলের পূজা বিস্তার লাভ করে। বিশেষ করে লেবানন,সিরিয়া এবং ফিলিস্তিন অঞ্চলের মুশরিক জাতিগুলো বা’আলের পুজায় আপাদমস্তক ডুবে গিয়েছিলো। এবার আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন বা’আল কে? বনী ইসরাইলের বা’আল পূজা হযরত মুসা (আ.) এর পর বনী ইসরাইলদের মধ্যে বা’আল পুজার প্রবনতা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত তারা বা’আল পুজায় চরম আসক্ত হয়ে পড়ে। জানা যায় তারা কোন একস্থানে বা’আলের যজ্ঞবেদী তৈরি করে নিয়েছিলো এবং সেখানে তারা বা’আলের নামে বলিদান করতো।একবার একজন খাঁটি মুমিন এই বেদীটি ভেঙ্গে ফেলে। পরদিন লোকেরা সমাবেশ লরে তাঁর মৃত্যুদন্ড দাবী করে। অবশেষে হযরত সামুয়েল,তালুত,দাউদ এবং সুলাইমান বনী ইসরাঈলকে মূর্তি পুজার কলুষতা থেকে মুক্ত করেন। তারা মধ্যপ্রাচ্যে বিরাট শক্তিশালী ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন।সে রাষ্ট্র থেকে শিরক ও মূর্তি পূজা উচ্ছেদ করেন কিন্তু সুলাইমান (আ.)এর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র রহুবমের অযোজ্ঞতার কারনে বনী ইসরাঈল রাজ্য ভেঙ্গে দু’ভাগ হয়ে যায়। একভাগে ছিল বাইতুল মাকদাস সহ দক্ষিন ফিলিস্তিন নিয়ে গঠিত ইহুদী রাষ্ট্র। আর উত্তর ফিলিস্তিনের নাম থাকে ইসরাইল রাষ্ট্র। ইসরাইল রাষ্ট্রের লোকেরা আবার মূর্তি পুজায় নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। তারা শিরক, মূর্তিপূজা, ফাসেকী,চরিত্রহীনতা এবং যাবতীয় বদ আমলের মধ্যে নিমজ্জিত হয়। বা’আল কে তারা দেবতা বানিয়ে নেয়। তারা নবীদের বংশধর হয়েও আল্লাহকে বাদ দিয়ে বা’আলের উপাসনায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। মুক্তির বানী নিয়ে এলেন ইলিয়াস বনী ইসরাইল শিরক ও চরম পাপাচারের কারনে ধ্বংসের মুখোমুখি এসে দাড়ায়। এ সময় মহান আল্লাহ ইলিয়াসকে নবুয়ত দান করেন। বনি ইসরাইলকে সতর্ক করার নির্দেশ দেন। তাঁদেরকে মুক্তি এবং কল্যাণের পথে আসার আহবান জানাতে বলেন। ইলিয়াস শাসকবর্গ ও জনগণের সামনে হাজির হন। তাঁদের সতর্ক করতে বলেন।আল্লাহকে ভয় করতে বলেন।মূর্তিপূজা ও পাপাচার ত্যাগ করতে বলেন। বা’আলকে পরিত্যাগ করতে বলেন। তাঁদেরকে আল্লাহর বিধানের ভিত্তিতে জীবন যাপন করতে বলেন। তখন ইসরাইলের রাজা ছিলেন আখিয়াব। আখিয়াব লেবাননের (সেকালে লেবাননকে বলা হত সাঈদা) মুশরিক রাজ কন্যাকে বিয়ে করে নিজেও মুশরিক হয়ে পড়েন হযরত ইলিয়াস আখিয়াবের কাছে এসে বলে দেন, তোমার পাপের কারনে এখন আর ইসরাইল রাজ্যে এক বিন্দু বৃষ্টিও হবেনা। শিশির এবং কুয়াশাও পড়বে না। আল্লাহর নবীর উক্তি অক্ষরে অক্ষরে সত্য হলো। সাড়ে তিন বছর পর্যন্ত ইসরাঈল রাষ্ট্রে বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে থাকলো। এবার আখিয়াবের হুশ হলো। সে হযরত ইলিয়াসকে সন্ধান করে আনলো। অনুনয় বিনয় করে হযরত ইলিয়াসকে বৃষ্টির জন্যে দোয়া করতে বললো। হযরত ইলিয়াস এই সুযোগে বা’আলকে মিথ্যা প্রমান করে দেবার সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি আখিয়াবকে শর্ত দিলেন,একটি জনসমাবেশ ডাকতে হবে। সেখানে বা’আলের পূজারীরা বা’আলের নামে বলিদান করবে এবং আমি আল্লাহর নামে কোরবানী করবো। গায়েবী আগুন এসে যে পক্ষের কোরবানীকে জালিয়ে ভস্মীভূত করে দিয়ে যাবে সে পক্ষের মা’বুদকেই সত্য বলে মেনে নিতে হবে। আখিয়াব এ শর্ত মেনে নিলো, তারপরকি হলো? তারপর আখিয়াব সাধারন জনসমাবেশ ডাকলো। সেখানে সাড়ে আটশো বা’আল পূজারী একত্রিত হলো।কোরবানী হলো,বলিদান হলো।তারপর? অতপর আকাশ থেকে আগুন এসে হযরত ইলিয়াসের কুরবানীকে ভস্মীভূত করে দিয়ে গেলো। সমস্ত জনগণের সামনে বা’আল মিথ্যা খোদা বলে প্রমানিত হলো। জনগন বা’আল পূজারীদের হত্যা করলো। হযরত ইলিয়াস সেখানেই আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্যে দোয়া করলেন। সাথে সাথেই আকাশে মেঘ করলো। প্রচুর বৃষ্টিপাত হলো। জনগন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। নবীর উপর নির্যাতন কিন্তু আখিয়াব ছিলো স্ত্রৈণ। স্ত্রৈণ মানে স্ত্রীর অনুগত। সে স্ত্রীর গোলামী থেকে মুক্ত হতে পারেনি। তাঁর মুশরিক স্ত্রী হযরত ইলিয়াসের ঘোরতর শত্রু হয়ে পড়ে। স্ত্রীর খপ্পরে পড়ে আখিয়াব আল্লাহর নবীর উপর নির্যাতন শুরু করে। তাঁর স্ত্রী ইসাবেলা ঘোষণা করে দেয়,বা’আল পূজারীদের যেভাবে হত্যা করা হয়েছে,ইলিয়াসকেও সেভাবে হত্যা করা হবে। তারা অত্যাচার নির্যাতনের দাপটে জনগনের মুখ বন্ধ করে দিলো। হযরত ইলিয়াস (আ.)একাকী হয়ে পড়লেন। তিনি বাধ্য হয়ে দেশ থেকে হিজরত করেন এবং সিনাই পর্বতের পাদদেশে আশ্রয় নেন। সংস্কার কাজ চালিয়ে যান হযরত ইলিয়াস কয়েকবছর সিনাইর পাদদেশে অবস্থান করেন। এরি মধ্যে দক্ষিন ফিলিস্তিনের ইয়াহুদী শাসক ইয়াহুরাম ইসরাইল রাজ্যের শাসক আখিয়াবের মুশরিক কন্যাকে বিয়ে করেন। তাঁর প্রভাবে ইহুদী রাজ্যেও ব্যাপক ভাবে মূর্তিপূজার প্রচলন শুরু হয়। ইলিয়াস এখানে আসেন। তাঁদের সতর্ক করেন। তাদের আল্লাহর পথ দেখান। মূর্তিপূজা পরিত্যাগ করতে বলেন। মর্মস্পর্শী অনেক উপদেশ দিয়ে রাজা ইয়াহুরামকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পত্রও প্রদান করেন কিন্তু তারা শিরক, মূর্তিপূজা ও পাপাচার থেকে বেরিয়ে আসেনি।শেষ পর্যন্ত রাজা ধ্বংস হয়ে যায়। কয়েকবছর পর ইলিয়াস আবার ইসরাইঈল রাষ্ট্রে ফিরে আসেন। আখিয়াব ও তাঁর পুত্র আখযিয়াকে সঠিক পথে আনার আপ্রান চেষ্টা চালান কিন্তু তাঁরাও আল্লাহর পথে ফিরে আসেনি। অবশেষে হযরত ইলিয়াস (আ.) এর বদদোয়ায় আখিয়াব রাজ পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়।হযরত ইলিয়াসের সুখ্যাতি জীবদ্দশায় তাঁর প্রতি চরম অত্যাচার নির্যাতন চালালেও তাঁর মৃত্যুর পর বনী ইসরাঈল তাঁর ভক্ত অনুরক্ত হয়ে পড়ে।

বাইবেল থেকে জানা যায়,বনি ইসরাঈল ধারণা করতো,ইলিয়াসকে আল্লাহ তা’য়ালা উঠিয়ে নিয়ে গেছেন এবং তিনি আবার পৃথিবীতে আসবেন। তারা ইলিয়াসের আগমনের প্রতীক্ষায় ছিলো। তাঁর আটশো বছর পরে হযরত ঈসা (আ.) এর জন্ম হয়। তিনি তাঁর সাথীদের বলে যান,ইলিয়া (ইলিয়াস) আটশো বছর আগে অতীত হয়ে গেছেন। তিনি আর পৃথিবীতে আসবেননা। যাই হোক, পরবর্তী লোকদের মাঝে হযরত ইলিয়াসের প্রচুর সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। সে কথাই মহান আল্লাহ কোরআনে এভাবে বর্ণনা করেছেন-“আর পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে আমি ইলিয়াসের সুখ্যাতি ছড়িয়ে দিয়েছি।”(সুরা:আস সাফফাত, আয়াত-১২৯)।

লেখকঃ সাবেক জাতীয় ক্রীড়াবিদ,সভাপতি শারীরিক শিক্ষাবিদ সমিতি
চেয়ারম্যান গ্রিন ক্লাব,শিক্ষক,গবেষক,সাংবাদিক ও কলামিস্ট

শিরোনাম