অস্তিত্ব হারিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে খরস্রোতা তুলাই নদী

মো.আলতাফ হোসেন ঃঃ
তুলাই নদী বাংলাদেশ ও ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ঠাকুরগাঁও এবং দিনাজপুর জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৬৭ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৩০ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা “পাউবো” কর্তৃক নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ১০৩।
১৭৮৩ সালে জেমস রেনেল অংকিত বাংলাদেশের মানচিত্র যে নদী-নালাগুলোর বিবরণ রয়েছে বর্তমানে সেগুলি চিহ্নিত করা কষ্টসাধ্য। নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে এবং পরিত্যক্ত গতিপথ ভরাট হয়ে পুরানো নদীপথের চিহৃ মুছে গেছে। আবার একই নদীর গতিপ্রবাহ ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত।
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বুকচিরে বয়ে যাওয়া এক সময়ের খরস্রোতা তুলাই নদী কালের আবর্তনে এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এলাকার কতিপয় সুযোগ সন্ধানী মানুষ নদীর গর্ভের জমিতে আবাদ করে আসছে বিভিন্ন রকমের ফসল। বিরল উপজেলার মঙ্গলপুর, বিরল, রাণীপুকুর এবং ভান্ডারা ইউপির ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তুলাই নদী দক্ষিণে মিলিত হয়েছে ভারতের টাংগন নদীর সাথে। প্রায় ১৫-২০ বছর আগেও থৈ থৈ পানিতে ভরা তুলাই নদীর পানি দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমি আবাদ হতো হর হামেশাই। নদীর মাছ দিয়ে নিজে এবং আত্মীয়ের সমাদর করতো এ এলাকার মানুষ। শুধু তাই নয় এ নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো। কালের বিবর্তনে এখন এগুলো শুধুই স্মৃতি।
দিন-রাত পানির কল কল শব্দে নদীর কালো মাটিয়া নামক খেয়া ঘাঠে নৌকায় উঠিয়ে লোকজন ও মালামাল পারাপার করতো বানু ঘাঠোয়াল নামের একজন মাঝি। কালের আবর্তনে এখন এই তুলাই নদীর রুপ রেখা হারিয়ে যেতে বসেছে। নদীর গর্ভে চলছে জমি দখল করে আবাদারে মহাউৎসব। এলাকার মানুষ মনে করেন, নদী রক্ষায় দ্রুত এ তুলাই নদী খনন করা প্রয়োজন। নদীটি খনন করা হলে একদিকে যেমন এ তুলাই নদী জীবন ফিরে পাবে।
দিনাজপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ জেলা। উপজেলার সংখ্যানুসারে দিনাজপুর বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা। দিনাজপুর জেলা উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলার মধ্যে বৃহত্তম। এই অঞ্চল ভূতাত্ত্বিকভাবে ভারতীয় প্লেটের অংশ যা আদি জুরাসিক যুগে সৃষ্টি হওয়া গন্ডোয়ানাল্যান্ডের অংশ ছিলো।
উজানে ফারাক্কা বাঁধের কারণে বিলীন হওয়ার পথে বৃহত্তর দিনাজপুরের ১৯টি নদ-নদী। এসব নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। নদী শুকিয়ে যাওয়ায় বড় বড় চর ভেসে উঠেছে। এসব নদীতে এখন চাষাবাদ হচ্ছে। মানুষজন পায়ে হেঁটে নদী পার হচ্ছে। প্রবাহমান এসব নদ-নদী শাখা-প্রশাখা নদী, ছড়া নদী,নালাগুলো এখন এ অঞ্চলের মানুষের কাছে শুধুই স্মৃতি হয়ে আছে।
দিনাজপুর পুনর্ভবা নদীর তীরে অবস্থিত। এক সময়ে এই দিনাজপুরে নদী পথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বনিকেরা ব্যবসার জন্য আসত। কালের বির্বতনে বিলীন হতে চলেছে এই নদীর অস্তিত্ব। এখন নদীপথের কোন অস্তিত্ব নেই। শুধু পুনর্ভবা নয়, দিনাজপুরের খরস্রোতা ছোট-বড় অনেক নদী এখন শুধুই বালুচর। অনেক জায়গায় এসব নদী এখন খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে। মরা খালে পরিণত হয়েছে খরস্রোতা তুলাই নদীটি।
এক সময়ের খরস্রোতের অন্যান্য নদীর মতো তুলাই নদীও এখন বছরের অধিকাংশ সময় থাকে শুকনো । নদীর বুকচিঁড়ে চাষ হচ্ছে সোনালি ফসল। নদীতে পানি না থাকায়, নদীপাড়ের চাষাবাদ চলছে ভূ-গর্ভ থেকে সেচকৃত পানি দিয়ে। হারিয়ে গেছে জেলেদের জীবন-যাত্রা, এলাকায় দেখা দিয়েছে দেশি মাছের আকাল। দিনাজপুরের আত্রাই, পূর্নভবা, ধলেশ্বর, ঢেপা, যমুনা, করোতয়া নদী গুলো এখন মরা খাল, এক সময়ে খরস্রোতের ছিলো নদী গুলো এখন বছরের অধিকাংশ সময় থাকে শুকনো ধুধু বালুচর। এই নদী গুলো ছিলো এই এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকার মাধ্যম, নদীর পানি দিয়ে চলতো, কৃষকের চাষাবাদ ও মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো হাজার জেলে সম্প্রদায়ের, শুধু তাই নয় নদী থেকে পুরানো হতো এলাকার দেশি মাছের চাহিদা।
জানা গেছে, দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী নদীগুলো দিনাজপুর জেলা সদর হয়ে চিচির বন্দর,পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর , হাকিমপুর, উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে জয়পুর হাট জেলার পাঁচবিবি জয়পুর হাট সদর হয়ে নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলা হয়ে যমুনা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। এই নদী গুলোকে কেন্দ্র করে নদীর তীরে গড়ে উঠেছে,দিনাজপুর সদর উপজেল, ফুলবাড়ী উপজেলা ও বিরামপুর, হাকিমপুর, পাচঁবিবি এবং জয়পুর হাট জেলা সদর। কিন্তু বর্তমানে নদীতে পানি না থাকায় হারিয়ে গেছে জেলেদের জীবন-জীবিকা ও এই এলাকার দেশি মাছ, কৃষকেরা চাষাবাদ করছে ভূ-গর্ভের পানি দিয়ে এই কারনে দিন দিন ভূ-গর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এই জন্য কিছু উপজেলায় রাবার ডাম্প স্থাপন করে বর্ষার পানি ধরে রেখে চাষাবাদ করার ব্যবস্থা হয়েছে।
নদী সাধারণত মিষ্টি জলের একটি প্রাকৃতিক জলধারা যা ঝরনাধারা, বরফগলিত স্রোত অথবা প্রাকৃতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্ট হয়ে প্রবাহ শেষে সাগর, মহাসাগর, হ্রদ বা অন্য কোন নদী বা জলাশয়ে পতিত হয়। মাঝে মাঝে অন্য কোনো জলের উৎসের কাছে পৌঁছানোর আগেই নদী সম্পূর্ণ শুকিয়ে যেতে পারে। নদীকে তার গঠন অনুযায়ী শাখানদী, উপনদী, প্রধান নদী, নদ ইত্যাদি নামে অভিহিত করা যায়। আবার ভৌগোলিক অঞ্চলভেদে ছোট নদীকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে প্রাচীন বাংলার অনেক শহর।
নদীকে ঘিরেই বিশ্বের প্রতিটি শহর, বন্দর, গঞ্জ, বাজার প্রভৃতি গড়ে উঠেছে। মালামাল পরিবহন ও যোগাযোগের সহজ উপায় হলো নৌকা। মালামাল পরিবহনে খুবই স্বল্প খরচে নৌকার জুড়ি মেলা ভার। যিনি নৌকা চালান তিনি মাঝি হিসেবে চিহ্নিত। একসময় নৌকায় পাল তোলা থাকতো। সময়ের বিবর্তনে এর স্থান দখল করেছে ইঞ্জিন চালিত নৌকা। মাঝ নদীতে জেলেরা উত্তাল তরঙ্গের সাথে যুদ্ধ করে মাছ আহরণ করে। নদী পাড়াপাড়ে ইজারাদার কর্তৃক কর হিসেবে অর্থ আদায় করতে দেখা যায়।
প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো নদী মরে যাবার খবর প্রকাশিত হচ্ছে। নদীমাতৃক এই দেশে নদী মরে যাবার খবরে যে প্রতিক্রিয়া হবার কথা তা হতে দেখা যায় না। কিন্তু এই নদীর সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত দেশের বেশিরভাগ মানুষের ভাগ্যলিপি। নদী মরে যাবার কারণে শুধু মানুষই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে না ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ, হারিয়ে যাচ্ছে মাছ, জলচর পাখি, উভচর,সরীসৃপ আর জলচর স্তন্যপায়ী প্রাণী। যার পরোক্ষ প্রভাব ঘুরে ফিরে আবার মানুষের উপরই পরতে বাধ্য।
পৃথিবীর ইতিহাস খুঁজতে গেলে দেখা যায় প্রায় সকল বড় বড় মানবসভ্যতা গড়ে ওঠেছিলো নদী তীরে। নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে নগর, বন্দর,শহর,গ্রাম, জেলেপাড়া, বাণিজ্যকেন্দ্র প্রভৃতি। এই নদীকে ঘিরেই ছিলো আদিকালের যাতাযাতের সকল ব্যবস্থা। জাহাজে, নৌকায় চড়ে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত মানুষ ঘুরে বেড়িয়েছে।কৃষি,মৎস্য,জেলেদের পেশা এবং সংস্কৃতির পাশাপাশি মানুষের নিত্যদিনের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সম্পদ সকল কিছুর একমাত্র উৎস ছিলো নদী। নদী আজ দখল, দূষণ আর ভরাটের প্রেিযাগিতায় বিপন্ন অনেকাংশে বিলুপ্ত। বিলুপ্ত প্রায় তুলাই নদী।
নদ-নদী মানবজীবনে ও মানবসভ্যতায় এক অনবদ্য সংযোজন।নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদীর উপস্থিতি আমাদের জীবনে যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা। আমাদের শিক্ষা-সংস্কৃতির একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে নদীর প্রভাব। ‘নদীও নারীর মতো কথা কয়’-অর্থাৎ নদীর সঙ্গে রয়েছে আবেগের সম্পর্ক। নদীর জন্য কত মানুষের কত বিচিত্র রকমের আকুতি। তাই নদীকে বাঁচাতে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
অমিত সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ। এদেশে বিরাজমান প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশের কাতারে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন অঞ্চলভিত্তিক সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং কেন্দ্রমুখী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেরিয়ে এসে অঞ্চলভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ। বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলই ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের দিক দিয়ে স্বকীয় বা অনন্য। অন্যান্য জেলার মত নেত্রকোনা জেলাও রয়েছে কিছু স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য।
কালের বিবর্তনে দিনাজপুর জেলার তুলাই নদীতে এখন আর পালতোলা নৌকার বহর দেখা যায় না। কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পানিশূন্য নদীর বুকে চলে চাষবাস। খনন না করা ও দখলদারদের থাবায় নদীর নাব্যতা যেমন কমছে, ঠিক একইভাবে কমছে নদীর সংখ্যাও। নদী গবেষকরা বলছেন, ষাটের দশকে ৭শত ৫০টি নদী ছিলো বাংলাদেশে। বর্তমানে এ সংখ্যা কমে মাত্র ২৩০টিতে দাঁড়িয়েছে। ৫০ বছরে হারিয়ে গেছে ৫২০টি নদী। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রবাহিত ২৩০ নদীর মধ্যে ৫৯টি আন্তর্জাতিক। তবে সরকারি হিসেবে দেশে নদীর সংখ্যা ৪০৫। শুকনো মৌসুমে এসব নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকে না। ফলে বদলে যাচ্ছে নদীগুলোর গতিপথ, শুকিয়ে মরে যেতে যেতে দেশের মানচিত্র থেকেই হারিয়ে যাচ্ছে একের পর এক নদী। হারিয়ে গেছে খরস্রোতা তুলাই নদীটি।
দেশের নদ-নদী হারিয়ে যাচ্ছে ফলে ইকোসিস্টেম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে, পরিবেশ বিপর্যয়ের মারাত্মক পর্যায়ে উপনীত। মাছ, পশুপাখি, গাছপালা, বন্য ও জলজপ্রাণী, উদ্ভিদ, ফ্লোরা-ফনা প্রভৃতি তাদের জীববৈচিত্র্য হারিয়ে অস্তিকত্বের সঙ্কটে ভূগছে, শহরের বায়ু নিশ্বাস গ্রহণের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে। শাখা-প্রশাখাসহ প্রায় ৮শ’ নদ-নদী বিপুল জলরাশি নিয়ে ২৪ হাজার ১শ’ ৪০ কিলোমিটার জায়গা দখল করে দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতো। কিন্তু কালের বির্তন আর নদী শাসনের ফলে কমে গেছে নদ-নদীর পরিমাণ। তেমনি একটি নদী দিনাজপুর জেলার তুলাই নদী।
ছোঁপ ফেলতে ফেলতে একসময় ছোঁপের জায়গা ভরাট করে স্থায়ীভাবে দখল করে নেয়া হয়। নদের আর কোনো চিহ্ন থাকে না। বলা বাহুল্য, নদ-নদীর বুক ঘেরাও করে এভাবে দখল প্রতিষ্ঠা করা কোনো নতুন ঘটনা নয় এবং শীতলক্ষ্যা ও বালু নদেই যে এরকম ঘটনা ঘটছে, তাও নয়। রাজধানীর পার্শ্ববর্তী অন্য দুই নদী তুরাগ-বুড়িগঙ্গাসহ সারাদেশের নদনদী এভাবে দখল করে নেয়া হচ্ছে। নদনদীর পানি দখল, তীর দখল,বালুমহল দখল, ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করে দখল সমানেই চলছে। দখলের একটা উৎসব চলছে যেন। এইসঙ্গে দূষণেরও কোনো সীমা নেই। দখল-দূষণে নদ-নদীর অস্তিত্ব মারাত্মকভাবে বিপন্ন। ইতোমধ্যে শত শত নদী বা তাদের অংশবিশেষ মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে। হারিয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে, এমন নদীর সংখ্যাও কম নয়। বলা হয়, নদী বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। নদী না থাকলে বাংলাদেশের কী হবে, বলার অপেক্ষা রাখে না। অর্থাৎ দেশের মধ্যে প্রবহমান অন্যান্য নদীর মতো তুলাই নদীকে বাঁচানোই এখন সময়ের দাবি।

লেখকঃ সাবেক জাতীয় ক্রীড়াবিদ(কারাতে ব্লাক বেল্ট ১ম ড্যান),সভাপতি শারীরিক শিক্ষাবিদ সমিতি,
চেয়ারম্যান গ্রিন ক্লাব,শিক্ষক, গবেষক,সাংবাদিক ও কলামিস্ট

শিরোনাম