স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে অভিভাবকের কাছে ইভটিজিংয়ের নালিশ করায় আবুবকর (৫৭) নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যা করেছে বখাটেরা। এই হত্যাকাণ্ডের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত এলাকাবাসী হত্যাকারীদের তিনটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার রামদী ইউনিয়নের মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবুবকর মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহান এর পুত্র। নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন আগে স্থানীয় বীর কাশিমনগর এফইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা. হাসিনা বেগম এক দুর্ঘটনায় আহত হলে ওই বিদ্যালয়ের দুই ছাত্র ও দুই ছাত্রী তাকে দেখতে যায়। এ সময় রাস্তায় ছাত্রীদের অশ্লীল ভাষায় কথাবার্তা বলে ইভটিজিং করে মুজরাই গ্রামের রবি মিয়ার ছেলে বাবুল ও আলমের ছেলে রিসাদসহ কয়েকজন বখাটে। ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা বিষয়টি তাদের শিক্ষিকা হাসিনা বেগমকে জানায়। হাসিনা বেগম বিষয়টি আবু বকরের স্ত্রী আনিছা বেগমকে অবহিত করে বলেন তিনি যেন বিষয়টি নিয়ে রিসাদ-এর পিতা আলমের কাছে বিচার দেন।
আছিয়া বেগম বিষয়টি আলমকে অবহিত করলে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে রিসাদ, পারভেজ ও বাবুলসহ আরও কয়েকজন একত্রে কৃষক আবু বকরের বাড়িতে গিয়ে আনিছা বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে খুঁজতে থাকে। এ সময় তাদের গালাগালির শব্দ পেয়ে আনিছার স্বামী কৃষক আবু বকর এশার নামাজ আদায় করে বাড়িতে এসে আনিছাকে খোঁজার কারণ জিজ্ঞেস করেন। তারা উত্তেজিত হয়ে বেধড়ক মারপিট করে ঐ কৃষককে মারপিট করে অজ্ঞান করে ফেলে। পরে তাকে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা আবুবকরের নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। লিখিত কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় এখনো কোনো মামলা রুজু করা হয়নি।